রত্না ও বিশ্বজিতের এক এক করে মোট চার চারটি সন্তানের জন্ম হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যে প্রথম দু'জন ৩-৪ বয়স হতে লেখা পড়ার নামে হোস্টেলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাখা হচ্ছে বলে জানায় রত্না ও বিশ্বজিৎ , দুই সন্তানকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়।
বাড়ির লোকজন এবং পাড়া প্রতিবেশীরা জানায়, কয়েক বছর কেটে যায় যখন ছেলে মেয়ের সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক বা তারা আর কখনও বাড়িতে আসেনি তাদের খোজ খবর তাদের আর দেখাও যায়নি। এর ফলেই সন্দেহ জাগে সকলের, যদিও রত্না বা বিশ্বজিতকে তাদের সন্তানের কথা কেউ জানতে চাইলে, রত্না কাউকে পাত্তাই দিত না বলেই অভিযোগ।
advertisement
এ বিষয়ে রত্নার ভাই মৃগাঙ্ক ব্যানার্জি জানায়, বছরের পর বছর তাদের ভাগনা ভাগ্নির খোঁজ নেই এ কথা দিদিকে জানতে চাইলে অশান্তি মারধর করতে বলেই জানিয়েছে সে। রত্নার স্বামী নির্দিষ্ট কোনও কাজই করত না, সন্তান বিক্রির টাকাতেই তাদের সংসার চলত বলেই মনে করে স্থানীয়রা।সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালাতে, দম্পতির শিশু কারবারের হদিশ মেলে, পুলিশ এই ঘটনায় মোট চারজনকে আটক করেছে, রত্না, বিশ্বজিৎ এবং রত্নার মা ও খুরতুতো এক দাদাকে।দম্পতির দুই শিশু পুলিশ হেফাজতে তাদেরকে হোমে পাঠানো হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
রাকেশ মাইতি