চাহিদা রয়েছে ভিন রাজ্য থেকেও, সেই গাছ প্যাকিং হচ্ছে নার্সারিতেই। অল্প সময়েই প্লেনে করে চলে যাচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে। এই নার্সারীর কাজে যুক্ত হয়ে হাওড়ার কৃষি প্রধান এলাকার মানুষ অর্থাৎ কৃষকেরা বেশ কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। হাওড়া বাগনান কৃষি প্রধান এলাকা, একাধিক গ্রাম এখন সবজি পান ও অন্যান্য ফুলের চাষ ছেড়ে নার্সারীর কাজে ঝুঁকছে মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ধান পাকার মুখে শোষক পোকার আক্রমণ, মাথায় হাত রাজ্যের শস্য ভান্ডারের কৃষকদের
বর্তমানে বাগনান ব্লকের একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই নার্সারি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের রুটি রুজি এখন এর উপরই নির্ভরশীল। এক নার্সারি মালিক জানান, তিনি ২৫ বছর এই কাজে যুক্ত একসময় চাষবাস করে চলত সংসার, তবে তাতে লাভের অঙ্ক দেখা যেত না। সে সব ছেড়ে এই নার্সারির কাজে যুক্ত হবার পর, অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে এবার বিরাট পদক্ষেপ সিবিআইয়ের, তলবের তালিকায় দারুণ চমক!
পান ও অন্যান্য চাষ ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ এই কাজে যুক্ত হচ্ছেন, এখন বাগনান ব্লকে প্রায় দুই হাজার নার্সারি গড়ে উঠেছে। জানান স্থানীয়রা, অন্যান্য চাষের থেকে লাভজনক দেখে ধীরে ধীরে নার্সারির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। নার্সারির মালিকেরা নতুন গাছ ও দানার জন্য তাদের যেতে হয় বোম্বে, বিদেশ থেকে বোম্বে আসে দানা ও নতুন গাছ। সেখান থেকে দানা বা গাছ নিয়ে এসে লালন পালন করে চারা তৈরি, তার পর সেই চারা যেমন স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় সেই সঙ্গে ভিন রাজ্যেও চলে যায়। এই শীতের শুরুতে দারুন চাহিদা রয়েছে তবে চাহিদা এতটাই যে অনেক সময় যোগানের অভাব হয়ে পড়ছে।
রাকেশ মাইতি





