আসলে ওদের অধিকার যেন ফিকে হতে বসেছে, খাবারের খোঁজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবার পথে গতিশীল গাড়ির চাকার প্রিস্ট হয়ে মৃত্যু বা গাড়ির সজরে ধাক্কায় প্রাণ হারাচ্ছে অবাধে এ ঘটনা কয়েক মাসে একাধিক বার জেলা জুড়ে, জেলার সবুজ বন অঞ্চলে মর্সৃণ সড়ক বা যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে তাতেই যেন মরণ ফাঁদ ওদের। রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে এক এক করে প্রাণ হারাচ্ছে। আবার কখনো মাছ চুরির দায়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে, সে ঘটনাও কয়েক মাস আগেই এক সঙ্গে তিনটি পূর্ণবয়স্ক রাজ্য প্রাণীর দেহ উদ্ধার হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পথ কুকুরদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিলেন পশুপ্রেমীরা
যদিও সে অর্থে মানুষকে আক্রমণ বা কামড়ের মত ঘটনা শোনা তো দূর কথা মানুষ দেখলেই ভয়ে কাতর রাজ্য প্রাণী। তবে রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে চলে আসে লোকালয়ে মাছ হাঁস বা মুরগির টানে। তখনই মানুষের নজরে আসে, বাঘ সন্দেহে জীবন যাবার উপক্রম হয়ে পড়ে বাঘরোলের। রাজ্য প্রাণী বাঘরোল সিডিউল -১ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, যা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সমতুল্য। রাজ্য প্রাণী মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয়, বাঘরোল বা মেছো বিড়াল (fishing cat) জেলার গ্রামীন এলাকার বনাঞ্চলে বসবাসের আদর্শ।
আরও পড়ুনঃ নির্মল বিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে শ্যামপুরের বিভিন্ন স্কুলে নানান কর্মসূচি
তবে বিভিন্ন কারণে প্রাণ হারাচ্ছে রাজ্য প্রাণীর। যদিও জেলা জুড়ে পরিবেশ সংগঠন ও পরিবেশ কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বাঘরোল বাঁচাতে পাশাপাশি সরকারি অর্থাৎ বন দফতর লিফলেট, এলাকায় জমায়েত, মাইকিং বার্তা, তার পাশাপাশি নাটকের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে সচেতন বার্তা বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে এই বাঘরোল যে হাওড়া জেলার এক শ্রেণীর মানুষের কাছে অর্থনৈতিক দিশা খুলে দিতে পারে এ কথাও জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশ কর্মীদের কথায়, বাঘরোলের টানেই হাওড়ার কিছু এলাকা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।
Rakesh Maity