গৃহস্থ বাড়ি থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হবে জৈবসার, গ্যাস। ইতিমধ্যেই জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে সলিড লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। তবে লিকুইড বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু জায়গা থেকে বাধা এসেছিল। কোথায় জমি জট সংক্রান্ত সমস্যা, আবার কোথাও এলাকার মানুষ এই কাজে বাধা দেন। তবে সেই সব সমস্যা অনেকটাই মিটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নষ্ট হচ্ছে ফসল, মারা যাচ্ছে গ্রামবাসীরা! হাতির হানায় ধ্বংস হওয়ার মুখে গ্রামীণ অর্থনীতি?
সরকারি নির্দেশিকা পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে সাঁকরাইল পঞ্চায়েতে। সাঁকরাইল ব্লকের মধ্যে এই পঞ্চায়েতেই প্রথম লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ হচ্ছে। ২০১৯ সালে প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের জুন মাসে প্ল্যান্টে প্রক্রিয়াকরণও শুরু হয়। প্রথমে অল্প পরিমাণে লিকুইড বর্জ্য আসছিল। পরে ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পঞ্চায়েতের ১০-১২ টি সংসদের পরিবার থেকে আবর্জনা আসছে। আবর্জনার পরিমান প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কেজির মত। এদিকে উৎপন্ন সারের খুচরো মার্কেটে যথেষ্ট ভাল চাহিদা আছে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুৎ পাল। তিনি আরও বলেন, প্ল্যান্ট খুব সহজ সরলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে এই প্ল্যান্ট বাড়াতে আরও বেশ কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এসএলডব্লিউএম প্রজেক্ট তৈরি করতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কিছু পঞ্চায়েতকে। এ প্রসঙ্গে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত প্রধান পদ্যুৎ বাবু জানান, বাধা বিপত্তি আসবে। মানুষকে খুব সহজ-সরলভাবে বিষয়টি বোঝাতে হবে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থেই এই কর্মসূচি। অতএব বোঝালে মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবে।
রাকেশ মাইতি