আরও পড়ুন: রাস্তার জমা জল থেকে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি! প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ
দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরার আটল বা পাঙ্ক তৈরি করছেন বৃদ্ধ আনন্দ গায়েন। হাওড়া জেলার উত্তর ভাটরার বাসিন্দা তিনি। বাড়ির গা ঘেঁষে বয়ে গেছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ। বর্ষায় ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। এখনকার জমি চাষের পক্ষে বেশ উপযোগী। পটল, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ সহ নানান সবজির সঙ্গে চাষ হয় ধান। সেই সঙ্গে অনেকে পশুপালন ও পুকুরে মাছ চাষ করেও জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে আনন্দবাবুর নিজস্ব জমি না থাকায় এক সময় দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। বর্তমানে বার্ধক্য জনিত কারণে সেটা আর সম্ভব হয় না। তাই গত কয়েক বছর ধরে তিনি আটল বা পাঙ্ক তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন।
advertisement
সারা বছর ধরে বাঁশের সূক্ষ্ম কাঠির সাহায্যে পাঙ্ক তৈরি হয়। বর্ষার কিছুদিন আগে থেকে বেচাকেনা শুরু হয়। এক একটি আটলের দাম ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়। সারা বছরে যা বিক্রি হয় তাতে নুন ভাত খেয়ে আনন্দবাবু এবং তাঁর স্ত্রীর দু’জনের দিন কেটে যেত এতদিন। তবে এবার খালে-বিলে সেভাবে দেখা নেই মাছের। ফলে আটলে মাছ ধরার প্রবণতাও কমেছে। তাতে কমে গিয়েছে বিক্রি। আর সেই ধাক্কায় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জীবিকা সঙ্কটে পড়েছেন বৃদ্ধ আনন্দ গায়েন। তবু সুদিন ফিরবে সেই আশায় আটল তৈরি করে চলেছেন তিনি।
রাকেশ মাইতি