উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। তার পাশাপাশি তাদের হাতে নতুন জামা, জুতো-সহ নানা উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছিল নৈশভোজের আয়োজনও। পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমতা স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’ ঝাড়গ্রাম জেলার চিচুড়গেড়িয়া নামক একটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ‘বর্ণ পরিচয়’ নামক একটি অবৈতনিক পাঠশালা চালায়। সেই পাঠাশালারই জনা ২০ খুদে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের উলুবেড়িয়ায় এ দিন আনা হয়েছিল। পুজো কমিটির তরফেই তাদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শনিবার বিকেলে গাড়িতে ঝাড়গ্রাম থেকে উলুবেড়িয়ায় এসে পৌঁছয় রাজবীর, পল্লবীদের মতো খুদেরা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা কচিকাঁচাদের উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি ও গঙ্গাপাড় ঘুরে দেখান।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ডেঙ্গি রুখতে বিশেষ ভাবনা ব্লক প্রশাসনের
আরও পড়ুন: শোভাযাত্রা করে সর্বমঙ্গলার ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বর্ধমানে শুরু হল শারদীয়া দুর্গোৎসব
সংগঠনটির সম্পাদক তাপস পাল জানান, “ওদের অনেকেই গঙ্গা দেখেনি। তাই সুযোগ যেহেতু হয়েছে তাই ওদের গঙ্গাপাড়ে নিয়ে এসে গঙ্গা দেখালাম এবং বিকালের কিছুটা সময় কাটালাম।” তারপরই ত্রিনয়নী আবাসনে পৌঁছে যায় ‘বর্ণ পরিচয়’-এর খুদেরা। সেখানে তাদের হাতে উৎসবের উপহার তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়, উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাসরা। খুদেদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন আবাসিকরা।
রাকেশ মাইতি