পরবর্তী কালে লেখা পড়ায় মন না বসায় আর পাঁচটা নিম্নবিত্ত পরিবারের মতোই কিশোর বয়সে দাদার সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন দিল্লি। তার পর মুম্বইয়ে ছিলেন তিনি। সে প্রায় ২৫-৩০ বছর আগের কথা। তখন জরির কাজের রমরমা বাজার। দেশবিদেশে ব্যাপক চাহিদা জরির কাজের। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে জরির কাজের কদর কমে।
আরও পড়ুন: আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, জানুয়ারি পর্যন্ত বিড জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াতে পারে সরকার!
advertisement
মুম্বই থেকে গোবিন্দ কলকাতায় এসে ২০০৫ সালে ডিজাইনার সুনেত্রা লাহিড়ির সঙ্গে কাজে যুক্ত হন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা, মা। মন চাইলেই বাড়িতে আসেন দাদা, বৌদি, ভাইপোর কাছে। দিন চলে যায়। পর পর নিত্যনতুন কাজ করে চলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এই দুই ব্যাঙ্ক সিনিয়র সিটিজেনদের ফিক্সড ডিপোজিটে দিচ্ছে ৯ শতাংশের বেশি সুদ, দেখে নিন এক ঝলকে!
বাগনানের পশ্চিম বাইনানের বাসিন্দা গোবিন্দ অবশেষে তাঁর শিল্পকর্মের স্বীকৃতি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিল্প ও কারিগরি দফতরের জরি শিল্পের উপর দেওয়া প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছেন তিনি। যদিও যৌথভাবে পেয়েছে এটি। ডিজাইনার হিসাবে সুনেত্রা লাহিড়ি ও শিল্পী হিসাবে গোবিন্দ বরের নাম ২৮ নভেম্বর ঘোষিত হয়। তার পরেই খুশির হাওয়া বাইনান গ্রামে।
গোবিন্দ বলেন, "প্রথমে তো এ কথা বিশ্বাস হয়নি, ডিজাইনার দিদিই প্রথম খবরটা জানান। এই প্রথম জরি শিল্পের উপর কোন কাজ ও শিল্পী পুরস্কৃত হল।" শুধু পোশাকে নয়, জরি শিল্পকে আপডেট করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে ও জানান গোবিন্দ। গ্রামীণ এলাকার এক শিল্পীর এই স্বীকৃতি নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে জানিয়েছেন সারা ভারত জরি শিল্পী কল্যান সমিতির সভাপতি মুজিবর রহমান।
রাকেশ মাইতি