আরও পড়ুন: এক যুগ বন্ধ থাকার পর ফের চালু হচ্ছে রিষড়া সেবা সদন
এশিয়ার বিখ্যাত পোশাক হাটের মধ্যে একটি হাওড়ার মঙ্গলা হাট। জেলায় এরপরই অঙ্কুরহাটি পোশাক হাটের অবস্থান। কয়েক বছর আগে এই হাট শুরু হলেও ক্রমশ বেড়ে চলেছে এর পরিধি। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বড় বড় বিল্ডিংয়ে একের পর এক পোশাক মার্কেট গড়ে উঠছে। একদিকে মেদিনীপুর অন্যদিকে কলকাতা, নদী পেরিয়ে মেটিয়াবুরুজ যাওয়ার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে এই হাটে দিন দিন ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে। এই হাট আরও বেশি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণ ডোমজুড় ও সাঁকরাইল এলাকার বহু ব্যবসায়ী পোশাক তৈরি করে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে। সেই সকল ব্যবসায়ীরা সরাসরি এই হাটে এসে নিজেদের তৈরি পোশাক বিক্রি করেন।
advertisement
সপ্তাহে দু’দিন বসে অঙ্কুরহাটি পোশাক হাট। এরমধ্যে শুক্রবার পাইকারি বাজারে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সারা বছর কম বেশি ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি লেগেই থাকে। তবে দুর্গাপুজোর কয়েক মাস আগে থেকে ভিড় বাড়ে ক্রেতাদের। পুজোর ১৫-২০ দিন আগে থেকে অসংখ্য খুচরো ক্রেতা এই হাটে এসে ভিড় করেন। এবার মহিলাদের লেহেঙ্গা, শাড়ির চাহিদা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্য দিকে বিচিত্রা ভেলভেট, নেট, শাটিন, ৬০-৬০ শাড়ির ভাল চাহিদা আছে। সুতির ভাল ছাপা তাঁত এবং জামদানি শাড়ির চাহিদাও আছে। এছাড়াও জরি-চুমকি দেওয়া নিত্য নতুন ডিজাইনের শাড়ির চাহিদাও বাড়বে বলেই জানালেন বিক্রেতারা। মূলত পুজোর বাজারকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
রাকেশ মাইতি