মূলত শনি মঙ্গলবার পুরোহিতের মাধ্যমে প্রতি ঘরে ঘরে পুজার্চনা অনুষ্ঠিত হয় দেবী মনসার। তবে মাটি বা অন্য শিলা মূর্তি সেভাবে দেখা যায় না। দেবী মনসার আরাধনা হয় একপ্রকার ক্যাকটাস জাতীয় গাছকে দেবী রূপে মেনে। সেই গাছ অধিকাংশ পরিবারে যেমন বেদিতে লক্ষ্য করা যায় ঠিক সেইসঙ্গে তুলশিবা হরি মঞ্চ থাকে একই সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পর পর দু'বার হেলায় হারিয়েছেন ক্যানসারকে, ঐন্দ্রিলার যুদ্ধ জয়ের একাধিক নজির
কিন্তু আমতা কুমুদেশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া যে মনসা দেবী রয়েছে তা আশ্চর্যজনক। সেখানে যে গাছটিকে মনসা রূপে পুজো করেন গ্রামের মানুষ, দেবীর মহিমায় শত শত বছর ধরে গাছের আকার আকৃতি প্রায় একই রকম রয়েছে এমনটাই জানান স্থানীয় মানুষ। এলাকার প্রবীণ নবীন কেউ দেখেনি ওই গাছের প্রতিষ্ঠা সময়। গ্রামের মানুষের অনুমান শিব মন্দির লাগোয়া মনসা বেদিটি শিব মন্দিরের সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে। অনুমান ওই সমসাময়িক কয়েক শত বছর আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই মনসা বেদিটি।
আর সেই থেকেই ঠাকুর গাছটি অবস্থান ওই বেদিতে। যে মনসা গাছ তার আকৃতি প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে আর সেই আঁকার আকৃতি দীর্ঘ কয়েক শত বছর ধরে একই রকম হয়ে রয়েছে। জানা যায়, জাগ্রত এই মায়ের পুজো বিশেষ বিশেষ দিনে জাঁকজমকপূর্ণ হয় সেই সঙ্গে শনি, মঙ্গলবার গ্রামের মানুষ মায়ের আরাধনা করেন নিয়ম মেনে।
রাকেশ মাইতি