তৎক্ষনাৎ বিষয়টি শ্যামপুরের বিশিষ্ট পরিবেশ প্রেমী অর্পণ দাসকে জানান তিনি। খবর দেওয়া হয় রেঞ্জ অফিসে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা দেন পশু প্রেমী অর্পণ দাস, অভীক মাইতি ও জাকির হোসেন। গত ৪ নভেম্বর ঠিক একই জায়গায় মাস ঘুরতে না ঘুরতেই প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী বাঘরোলের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। এদিন ফের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরেকটি বাঘরোলের। শ্যামপুরে একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় বন্যপ্রাণীর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন পরিবেশ প্রেমীরা।
advertisement
মাসখানেক আগেই শ্যামপুরের রামনগর এলাকায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট শেয়ালকে পড়ে থাকতে দেখেন পেশায় চিত্রশিল্পী পলাশ মাইতি।তার আগে ওই এলাকা থেকেই একটি কুয়োয় পড়ে যাওয়া বাঘরোল ও তার দুই শাবককে উদ্ধার করা হয়েছিল। কয়েকমাস আগে বাসুদেবপুর খাড়ুবেরিয়া মোড়ের কাছেই একই ভাবে পথ দুর্ঘটনায় একটি বাঘরোলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিতে হবে’, পঞ্চায়েতে ‘অকর্মণ্য’-দের ঝাঁঝালো নির্দেশ অভিষেকের
পশু প্রেমী অর্পণ দাস বলেন, প্রশাসন সহ বনদফতরের বিগত তিনবছর ধরেই এই বিষয়টি নজরে আনার চেষ্টা করছি। শ্যামপুরে সব থেকে বেশি বাঘরোলের দেখা মেলে রামনগর গ্রাম এলাকায়। কিন্তু প্রশাসন, বনদফতরের আজও কোনও হেলদোল নেই। গাড়ির গতি কমানোর জন্য রাস্তার ধারে সাইন বোর্ড, স্পিড ব্রেকার কথা আজও বলা হয়। সাইন বোর্ড বসানো হলেও গাড়ির চালকরা বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুন, ‘ডিসেম্বরে ছোট্ট করে দরজা খুলব?’ কাঁথিতে হঠাৎ তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন অভিষেক
স্থানীয় বাসিন্দারাও বলছেন, এলাকাটি বন্যপ্রাণীদের পারাপারের এলাকা। ফলে এখনই প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আগামী দিনেও নিরীহ প্রাণী গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারাতে থাকবে।
রাকেশ মাইতি