সুরজিতের বাবা মনেশ আদক ভ্যান চালিয়ে যা উপায় করেন তার বেশিরভাগটাই ছেলের চিকিৎসার খরচে চলে যায়। তবু তিনি ছেলের চিকিৎসার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহে দু'দিন করে ছেলেকে কোলে চাপিয়ে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ডায়ালিসিসে নিয়ে যান। মাঝেমধ্যেই চিকিৎসার জন্য সুরজিতকে পিজিতেও নিয়ে যেতে হয়। মনেশ বাবুর কোলই এখন সুরজিতের ভরসা। মনেশ আদক জানান, ছেলের ছোটো থেকে মূত্রের সমস্যা ছিল। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপন করত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রয়েছে খেজুর পাতার ঝাড়ুর চাহিদা, তবে কাঁচা পাতার যোগান কম হওয়ায় চিন্তায় কারিগর!
বছর চারেক আগে হঠাৎই জানা যায় ছেলের দুটো কিডনি খারাপ। তারপর ভেলোর সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছি। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যেটুকু আয় করি প্রায় সবই চিকিৎসার খরচে চলে যায়। বছর খানেক হল ও আর চলতে পারেনা। এমতাবস্থায় সুরজিতের পাশে এগিয়ে এলো আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুরজিতের সাথে শারদোৎসবের আনন্দকে ভাগ করে নিল সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ নদী ভাঙ্গন ঘুম কেড়ে নিয়েছে গ্রামের মানুষদের
শারদ শুভেচ্ছা হিসাবে ওই সংগঠন -এর পক্ষ থেকে সুরজিতকে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হল একটি হুইলচেয়ার। হুইলচেয়ার পেয়ে ভীষণ খুশি সুরজিৎ ও তার পরিবার। সুরজিতের বাবা মনেশ আদক জানান, ছেলের জন্য হুইলচেয়ার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। কোলে করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। এবার হুইলচেয়ারেই ছেলেকে নিয়ে যাব।
Rakesh Maity