কড়াই থেকে তেলেভাজা ঝুড়িতে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, এ ঘটনা প্রতিদিনের। আসলেই ছোট্ট কড়াইয়ে সব দেওয়ার আগেই খরিদ্দার এসে হাজির। যিনি তেলে ভাজা ভাজছেন, তিনি একজন মহিলা, তার নাম অষ্ট রানী মন্ডল। দীর্ঘদিন তিনি ওই দোকান সামাল দিচ্ছেন। অষ্ট রানী জানান, বেশ কয়েক বছর আগে পরিবারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী, বাধ্য হয়েই তিনি সে সময়েই সংসার থেকে বেড়য়ে দোকানে এসে হাল ধরেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শ্যামপুরে পুলিশের অভিযান, বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ বাজি!
তারপর কয়েক বছর কেটে যায় দোকান একদিকে অন্যদিকে সংসার এভাবেই কয়েক বছর কেটে যায়। দুই কন্যা সন্তান এবং এক পুত্র সন্তানকে মানুষ করা। তারপর এই দোকানকে অবলম্বন করেই পরিবার থেকে দূর হয়েছে অভাব। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে এখন কিছুটা স্বাচ্ছন্দ সংসারে। তবে এখনো দোকানে আসে কোন ক্ষান্তই বা ছুটি নেই।
আরও পড়ুনঃ ছোটদের হাতেই সাজছে প্রতিমা! এই পুজোর থিম 'কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি'
প্রতিদিন সংসারের কাজ সেরে দুপুরে দোকানে এসে পৌঁছন তারপর সারাদিন আগুনের সঙ্গে লড়াই করে তেলেভাজা ভাজা এবং খরিদ্দার সামলানো। সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেই দোকানদারি সন্ধা পেরিয়ে রাত প্রতিদিন বাড়ি ফেরার সময় ঘড়ির কাঁটা অবস্থান ১০ ও ১১ এর মাঝে। এভাবেই প্রতিদিন কাটে অষ্ট রানী মন্ডলের দিন।
Rakesh Maity