বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই কালীপুজো এবার শতবর্ষে পদার্পণ করল। শতবর্ষে তাদের ভাবনা 'মাটির টানে'। উদ্যোক্তাদের কথায়, গ্রাম বাংলার মানুষের সঙ্গে মাটির নিবিড় সম্পর্ক। মাটিকে আঁকড়ে ধরেই বড়ো হওয়া। আবার মাটিকে কেন্দ্র করেই শিল্পীর স্বপ্ন দেখা। মাটির প্রতি এই নিবিড় টানকেই এবার পুজোয় থিমের আকারে তুলে ধরছেন বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা। পুজোর ১০০ দিন আগে খুঁটি পুজো দিয়ে এবারের পুজোর প্রস্তুতি অর্থাৎ মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন Nadia News: আম, কাঁঠাল, আমসত্ত্বের মিষ্টিতে ভরিয়ে দিন ভাইয়ের প্লেট! ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল মিষ্টি
দীর্ঘ কয়েক মাসের চেষ্টায় মণ্ডপ সেজে উঠেছে, মাটির শিল্পকলা এবং মৃৎশিল্পীদের জীবন চিত্র, কিভাবে মাটি পুড়িয়ে কঠিনে পরিণত করা তারই এক ফলক চিত্র। সে সমস্ত কিছু তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে৷ সেই সঙ্গে যে পথে দর্শক মণ্ডপে প্রবেশ করবে সেই পথ চন্দননগরের রঙিন আলোর মোড়ক এবং মণ্ডপের পার্শ্ববর্তীতে মনকাড়া আলোকসজ্জা যা দূর দুরান্তের দর্শকদের বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের পুজো মণ্ডপ আকর্ষণ করে, এবার আরও বেশি করে দর্শকের মন আকৃষ্ট করবে৷ সেই মতই ১০০ তম বর্ষে আরও আকর্ষণীয় সাজে সেজে উঠেছে মণ্ডপ।
আরও পড়ুন অনলাইনে মিষ্টি কিনছিলেন মহিলা, হঠাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও আড়াই লক্ষ টাকা
পুজোর দিন থেকেই দর্শকদের ঢল মণ্ডপে।উদ্যোক্তাদের কথায় জানা যায়, প্রায় দশ বছর ধরে আমরা থিমের পুজো করছি। তবে এবার বাজেট অনেকটাই বেশি। মণ্ডপে থিমের ছোঁয়া থাকলেও প্রাচীন রীতি মেনে আজও ক্লাবের মাঠেই তৈরি হয় সাবেকী প্রতিমা। পুজোর পাশাপাশি কয়েকদিন বাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সূচীর ও আয়োজন।
রাকেশ মাইতি