TRENDING:

Hooghly News: চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো, প্রথম পুজো কোনটা জানেন? 

Last Updated:

আজ থেকে ঠিক ১২ দিন পরেই হুগলির চন্দননগর ভাসবে আলোর রোশনায়। চন্দননগর বাসীর সেরা উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হবে ২৯ অক্টোবর থেকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি : মাত্র আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। আজ থেকে ঠিক ১২ দিন পরেই হুগলির চন্দননগর ভাসবে আলোর রোশনাইয়ে। চন্দননগর বাসীর সেরা উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হবে ২৯ অক্টোবর থেকে। আকাশ ছোঁয়া জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ও নানা ধরনের আলোয় সেজে উঠবে গোটা শহর। তবে আপনারা জানেন কি চন্দননগরের প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো কোনটি ? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আপনাদের আসতে হবে চন্দননগর চাউলপট্টির আদি মা'য়ের মন্দিরে। আনুমানিক ৩০০ বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় এই পুজো।
advertisement

আরও পড়ুন Crime News: সাক্ষাৎ ২২ শে শ্রাবণ সিনেমা! প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই ২ ব্যবসায়ী অপহরণের হোতা, ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি

এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে কথিত ইতিহাস, কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজদেরকে খাজনা না দিতে পারায় তাকে জেলবন্দি করেন ইংরেজরা। সেই সময়টা ছিল দুর্গাপুজোর। গোটা পুজোয় দেবীর আরাধনা না করতে পেরে খুবই মন খারাপ হয়ে পড়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই আদ্যাশক্তি মহামায়া তাকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবীর আরেক রূপ জগধাত্রীকে আরাধনা করার। সেই মতো রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজদের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে নৌকায় চেপে পাড়ি দেন। এবং তিনি এসে পৌঁছান গঙ্গা বক্ষর চাঁদের নগরে। যা তৎকালীন সময় ফরাসডাঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বন্ধু ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের তৎকালীন দেওয়ান। দেবীর স্বপ্নদোষ মতন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও ইন্দ্রনারায়ণ দু’জন মিলে চালু করেন চন্দননগরের চাউলপট্টির দেবী জগদ্ধাত্রী পুজো। সেই থেকেই এই পুজো আদি মা নামে পরিচিত। এরপরেই নাকি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগরে গিয়ে তার নিজের বাড়িতেও দেবী জগদ্ধাত্রী আরাধনা শুরু করেন।

advertisement

আরও পড়ুন Birbhum News : একেই বলে রাখে হরি মারে কে! ট্রেন থেকে ফেলা দেওয়া যুবকের প্রাণ বেঁচে গেল যে ভাবে...

View More

স্থানীয় এক পুজো উদ্যোক্তা জানান, পুজোর চারটে দিন খুব জাকজমক ভাবে পুজো হয়। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল সমস্ত পুরুষরাই পুজোর সব জোগাড় করেন। একই সঙ্গে এই পুজোতে সহস্র কাপড় অর্পণ করা হয়। সেই সমস্ত কাপড়গুলি অনাথ দুঃস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে দেবীকে যে ফল প্রসাদ অর্পণ করা হয় তাও চলে যায় জেলার সদর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে সমস্ত ফল বিতরণ করে দেওয়া হয় রোগীদের মধ্যে। পুজো উপলক্ষে চারদিন ধরে এখানে বসে মেলা। নবমীর দিন ধুনো পোড়া এক বিশেষ সংস্কৃতি এই পুজোর।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রাহী হালদার

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো, প্রথম পুজো কোনটা জানেন? 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল