এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে কথিত ইতিহাস, কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজদেরকে খাজনা না দিতে পারায় তাকে জেলবন্দি করেন ইংরেজরা। সেই সময়টা ছিল দুর্গাপুজোর। গোটা পুজোয় দেবীর আরাধনা না করতে পেরে খুবই মন খারাপ হয়ে পড়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই আদ্যাশক্তি মহামায়া তাকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবীর আরেক রূপ জগধাত্রীকে আরাধনা করার। সেই মতো রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজদের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে নৌকায় চেপে পাড়ি দেন। এবং তিনি এসে পৌঁছান গঙ্গা বক্ষর চাঁদের নগরে। যা তৎকালীন সময় ফরাসডাঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বন্ধু ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের তৎকালীন দেওয়ান। দেবীর স্বপ্নদোষ মতন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও ইন্দ্রনারায়ণ দু’জন মিলে চালু করেন চন্দননগরের চাউলপট্টির দেবী জগদ্ধাত্রী পুজো। সেই থেকেই এই পুজো আদি মা নামে পরিচিত। এরপরেই নাকি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগরে গিয়ে তার নিজের বাড়িতেও দেবী জগদ্ধাত্রী আরাধনা শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন Birbhum News : একেই বলে রাখে হরি মারে কে! ট্রেন থেকে ফেলা দেওয়া যুবকের প্রাণ বেঁচে গেল যে ভাবে...
স্থানীয় এক পুজো উদ্যোক্তা জানান, পুজোর চারটে দিন খুব জাকজমক ভাবে পুজো হয়। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল সমস্ত পুরুষরাই পুজোর সব জোগাড় করেন। একই সঙ্গে এই পুজোতে সহস্র কাপড় অর্পণ করা হয়। সেই সমস্ত কাপড়গুলি অনাথ দুঃস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে দেবীকে যে ফল প্রসাদ অর্পণ করা হয় তাও চলে যায় জেলার সদর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে সমস্ত ফল বিতরণ করে দেওয়া হয় রোগীদের মধ্যে। পুজো উপলক্ষে চারদিন ধরে এখানে বসে মেলা। নবমীর দিন ধুনো পোড়া এক বিশেষ সংস্কৃতি এই পুজোর।
রাহী হালদার