কয়েক হাজার ছোট ছোট গাপ্পি মাছ তারা লড়াই করতে প্রস্তুত ডেঙ্গু মশার সঙ্গে। আসলে এই গাপ্পি মাছ হল প্রাকৃতিক অস্ত্র ডেঙ্গু মশার সঙ্গে লড়াই করার জন্য।
বর্ষার সময় বিভিন্ন জায়গায় জমা জলের মধ্যে ডেঙ্গুর মশারা ডিম পাড়ে। সেই ডিম ফুটে নতুন করে তৈরি হয় ডেঙ্গু মশা। তবে জলাশয়ের মধ্যে যদি এই ধরনের গাপ্পি মাছ ছাড়া থাকে, তাহলে মশার লার্ভাগুলিকে খেয়ে ফেলে পরিবেশকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ছড়ানো ব্যালট পেপার সোজা হাইকোর্টের টেবিলে! তাজ্জব বিচারপতি, তলব বিডিও
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে ছাড়া হয় গাপ্পি মাছ। এই বিষয়ে হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার এক কাউন্সিলর সরস্বতী পাল তিনি জানান, প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সাথে মোকাবিলা করার জন্য গাপ্পি মাছ এক অনবদ্য উপায়। তাই বর্ষা শুরুর আগে থেকেই ডেঙ্গু মশা দমন করতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে বিভিন্ন জলাশয়গুলিতে।
আরও পড়ুনঃ বারবার ‘ওর’ কাছে পালিয়ে যেত স্ত্রী, দুপুরে হঠাৎ যুবককে এ কী অবস্থা করলেন ব্যক্তি
যার ফলে বর্ষার সময় যখন ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়বে তখন এই মাছগুলোও নিজেদের প্রজননের ফলে নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। মশার লার্ভা গুলিকে খেয়ে তারা একদিকে যেমন নিজেদের জীবন ধারণ করবে অন্যদিকে পরিবেশকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা তিনি জানান, ডেঙ্গু মোকাবিলায় তৎপর পুরসভা। সপ্তাহের সপ্তাহে বাড়ির আশেপাশে এসে মশা মারার তেল স্প্রে করা থেকে শুরু করে কোথাও কোন জমা জল আছে কিনা সেই বিষয়েও খবরাখবর নেওয়া হয় নিয়মিত। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা।
রাহী হালদার