২০০২ সালে শেওড়াফুলিতে যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্য শিক্ষার মতন জরুরি বিষয়গুলির উপর সচেতন করতে সেখানে আসে এনজিও। আর তখন থেকেই হুগলির ওই পতিতা পল্লীর নবপ্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত করার কাজ করে চলেন সঞ্জয় বাবু। সঞ্জয়বাবু নিউজ 18 কে সাক্ষাৎকারে জানান, তার পিতৃভূমি শেওড়াফুলির ওই পতিতাপল্লীই। বছর কুড়ি আগে পড়াশোনা শেষ করে তিনি যুক্ত হন দুর্বার সমিতির সাথে। ছোট থেকে তার মনের ইচ্ছা ছিল তাদের পল্লীর মানুষজনদের জন্য কাজ করা। তার স্বপ্ন সফল হয় দুর্বার সমিতি মারফত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় সমস্যায় পুজো উদ্যোক্তারা
তিনি জানান, তিনি নিজেও যৌনকর্মী জনগোষ্ঠীর একটি অংশ তার দিদিমা ঠাকুমারাও যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি ছোট থেকে দেখেছিলেন সমাজের প্রতিটা পদক্ষেপে কীভাবে যৌনকর্মীর সন্তানরা পিছিয়ে পড়ে। শিক্ষার অভাবে তার ছোট থেকেই অনেক বন্ধুবান্ধব সমাজের কালো অংশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি চাইতেন আগামী প্রজন্মকে যাতে শিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। বিগত কুড়ি বছর ধরে একটি এন জি ও এর সঙ্গেই সেই কাজ করে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ফুটবল খেলাকে ঘিরে গন্ডগোল! সাসপেন্ড করা হল মাঠ, প্রতিবাদে ক্লাব কর্তৃপক্ষের পোস্টার
প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই বই খাতা হাতে ক্লাসরুমে পড়তে চলে আসে কচি কাচারা। তার কাছে পড়াশোনা শিখে অনেকেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। বর্তমানে তার এক ছাত্রী ক্লাস এইটে পড়ছে। অংক, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল সবই তিনি একাই পড়ান সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের। যৌনকর্মী জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে উঠে আসা এই মানুষটি কিন্তু সিনেমার কাল্পনিক চরিত্র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। শিক্ষক হলেন সমাজ করার কারিগর। আর সঞ্জয় বাবুর মতো মানুষ সেই কাজ নিষ্ঠা ভাবে করে চলেছেন।
Rahi Haldar