আরও পড়ুন: কৃষকরা বাংলা শস্য বিমা কেন করবেন? কারণগুলো জানুন
হুগলির কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়। স্কুলের পঞ্চম থেকে দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন দুটো আলাদা বিল্ডিংয়ে হয়। দুটি বিল্ডিং আবার পাশাপাশি নয়, সেগুলি ব্যস্ততম জি টি রোডের দুই প্রান্তে অবস্থিত। ফলত ক্লাস করা থেকে শুরু করে স্কুলের একাধিক কাজকর্ম করার জন্য ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই প্রতিনিয়ত পারা হতে হয় জি টি রোড। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়েই এইভাবে স্কুল চলছে। কিন্তু বেহালার বড়িশা হাই স্কুলের ঘটনায় টনক নড়েছে প্রশাসনের।
advertisement
স্কুলের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, ২০১৭ সালে ক্লাস নিতে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন পাপিয়া নন্দী নামে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা। ওই দুর্ঘটনার পর তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। হাতে ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হয়। তারপরেও সমস্যার সমাধানে কোনরকম পদক্ষেপ করা হয়নি।
সেই আহত শিক্ষিকা পাপিয়া নন্দী বলেন, প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রী সকলেরই নিরাপত্তার দিকে নজর দিক। আগে তাও এক জন মহিলা পুলিশ কর্মী থাকতেন তবে তা কোনদিনই স্থায়ী হয়নি। এর ফলে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে পড়ুয়া বা শিক্ষক যে কেউ আবার বিপদে পড়তে পারেন বলে তাঁর আশঙ্কা।
শুক্রবারের বড়িশা হাইস্কুলের ঘটনার পর চন্দননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে গার্ডরেল এবং ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে।
রাহী হালদার