শুক্রবার বিকালে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল। চন্দননগর স্ট্যান্ডে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ ভূন্দেশ, ডিসি হেডকোয়ার্টার নিধিরানী, মেয়র রাম চক্রবর্তী, পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু প্রমুখ। সাদা পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চলছে ছট পুজোর প্রস্তুতি, প্রসাদে রয়েছে প্রচুর গুনাগুণ, জানলে অবাক হবেন
এ দিন গাইড ম্যাপের সঙ্গে শিশুদের জন্যে ব্যাজ এবং ভলেন্টিয়ার ব্যাজেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। করোনা প্রকোপ কাটিয়ে এ বছর পুরো উদ্যমে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পাঁচ লাখ দর্শনার্থী সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে শহর চন্দননগর ও তার তৎসংলগ্ন এলাকার। ফেরিঘাট, রেল স্টেশন এবং সড়ক পথে বহু দর্শনার্থী আসবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কমিশনারেট ছাড়াও বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। পুজোর দিন গুলিতে প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবছর।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনে নদীর চড়ে জোড়া বাঘের তীব্র লড়াই! রুদ্ধশ্বাস দৃশ্য পর্যটকের ক্যামেরাবন্দি, দেখুন
একাধিক সেক্টরে বিভক্ত করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৬ পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ আধিকারিক এবং ইন্সপেক্টার পদমর্যাদার ৩৫ আধিকারিক। মোতায়েন করা থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী এবং মহিলা পুলিশ কর্মী। সুইপিং পার্টি থাকবে ৫০ বাইকে। পঞ্চমী থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর ২'টো থেকে পরদিন সকাল ছ'টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। জিটি রোডে বন্ধ থাকবে অটো টোটোর মত গণপরিবহন। তবে দিনের বেলায় কেমন ভিড় হয় তা দেখেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বাইরে থেকে যে সমস্ত গাড়ি আসবে তাদের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরে ঢোকার মোট ৪৪ টি জায়গায় নো-এন্ট্রি থাকবে। পুলিশের অ্যান্টি-ক্রাইম টিম মোতায়েন থাকবে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বড় রাস্তা পুজো মণ্ডপ এবং সংলগ্ন এলাকায় পাঁচশোর বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নজরদারি চালানো হবে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে শহরের অলিগলি সর্বত্রই। চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর এলাকা সংলগ্ন প্রত্যেকটি ঘাটেই লঞ্চ পরিষেবা চালু থাকবে।
২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। দর্শনার্থীরা যাতে ভালভাবে ঠাকুর দেখতে পারেন তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা থাকছে। এবছরই প্রথম সপ্তমীর দিন শহরের প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাহী হালদার