এই ডায়বেটিস ক্লিনিক একটি অভিনব ধারণা। ভারতবর্ষে টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। এতদিন পর্যন্ত তাদের যথাযথ ব্যবস্থা ঠিক ঠিক ভাবে করা যায়নি। তাদের প্রতিনিয়ত চেকআপ জীবনদায়ী ওষুধ যেমন ইনসুলিন সরকারি ভাবে দেওয়া যায়নি। এতদিন শুধুমাত্র দু একটি মেডিকেল কলেজে এই পরিষেবাটা চালু ছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে চারটি হাসপাতলে পাইলট প্রজেক্ট এই ক্লিনিক চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলা হাসপাতালে এই ক্লিনিক চালু হল।
advertisement
ক্লিনিকে প্রতিদিন চেকআপ হবে,সুগার পরীক্ষা হবে,এবং পরবর্তীকালে কোন কমপ্লিকেশন সেটা দেখা হবে, ইনসুলিন বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। রক্ত পরীক্ষার জন্য যে সব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। শিশুদের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস বা মধুমেহ রোগের চিকিৎসায় কোনো অসুবিধা না হয় তার উপরেও নজর দেওয়া হবে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরবর্তী কালে হয়ত এটি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। আপাতত সপ্তাতে একদিন চলবে ক্লিনিক। পরে সপ্তাহের সাতদিনই খোলা থাকবে।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহের শুরুতেই তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার বিদ্যালয়ের মাঠে!
ডায়বেটিস ক্লিনিক সুপারভাইস করতে উপস্থিত ছিলেন নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট চিকিৎসক সুবীর গোস্বামী তিনি জানান, ডায়বেটিস ভারতবর্ষে মহামারির আকারে রয়েছে। প্রতি নয় জনে একজন ডায়বেটিসে আক্রান্ত। তবে যেটি নিয়ে কথা বলা হয় সেটি টাইপ টু ডায়বেটিস। প্রতি একশ জনে চার থেকে পাঁচজন টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত। আজকে সারা বিশ্বে টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত সবথেকে বেশি রয়েছে ভারতবর্ষে রয়েছে। অনেক সময় অনেক শিশু আছে যাদের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস থাকলেও তা ধরা যায় না এটাই দুঃখের।
আরও পড়ুনঃ বহুরূপী সেজে ডেঙ্গি সচেতনতায় মাচপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক
এই ক্লিনিকের উদ্দেশ্য হল ডায়বেটিস চিকিৎসা পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরন। শুধুমাত্র কলকাতার মেডিকেল কলেজ গুলো না, জেলা স্তরে জেলা হাসপাতাল ব্লক এমনকি গ্রামস্তরে নামিয়ে আনতে হবে ডায়বেটিস পরিষেবা। এই পইলট প্রজেক্ট সফল হলে শুধু ভারতবর্ষে না অনেক উন্নয়নশীল দেশে এই ক্লিনিক কাজ করতে পারে।আগামী বেশ কয়েক মাস চুঁচুড়ায় জেলা হাসপাতালে ক্লিনিকটি সুপারভাইস করতে আসবেন চিকিৎসক সুবীর গোস্বামী। তিনি মনে তারপর এই ক্লিনিক স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় ইউনিট গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
Rahi Haldar





