স্কুলে ঢুকতে গেলে এক হাঁটু কাদা জল পেরিয়ে ঢুকতে হচ্ছে। শুধু এই বছর বলে নয় দীর্ঘ চার পাঁচ বছর যাবত এই সমস্যায় নাজেহাল স্কুল কর্তৃপক্ষ।ফলে বাধ্য হয়েই জিটি রোডের পাশেই চাটাই পেতে পড়ুয়াদের নিয়ে বসে পড়েন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা । স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় পাম্প লাগিয়ে জল নিকাশি করে পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকলে শুরু হয় পঠন-পাঠন।
advertisement
অভিভাবক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিকাশির সমস্যা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলের প্রবেশের পথে জল জমে। এই নিয়ে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলরাম সাহা তিনি নিজে অভিভাবকদের সই সংগ্রহ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত বিডিও ও স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা মেলেনি । আজ স্কুলে এসে শিক্ষক দেখেন স্কুলে জল জমে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি জিটি রোডের পাশে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিয়ে বসে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরেই নিকাশের সমস্যা থাকায় জল জমে যাচ্ছে। যদিও প্রশাসনের আশ্বাসপাম্প লাগিয়ে জল বের করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির বিদায় পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় চন্দ্র সরেনের দাবি, ‘‘৩-৪ বছর ধরে এই সমস্যা। স্কুলের সামনে নিকাশি নালার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। স্কুলের শিক্ষক বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। গত বছর মাপ যোগ করা হয়। সাত-আট মাস আগে টাকা বরাদ্দ হয়ে যায় কিন্তু তারপরেও কাজ হয়নি। পঞ্চায়েতকে জানানো হলে তারা জানিয়ে দেন তাদের কাছে কোনও ফান্ড নেই। ফান্ড এলে ড্রেন করা হবে।’’
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় বাইক আরোহীর তাণ্ডব, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মহিলা
যদি বিজেপির দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য পাঁচ বছর সময় পেয়েও এলাকার কোনও উন্নয়ন করেনি। তাই প্রধানকে দোষ দিলে হবে না। প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। আমি পান্ডুয়া ব্লকের রাস্তা, নর্দমা, নলকূপ অনেক কিছু করে দিয়েছি৷ তাই আমাকে জানাতে পারতেন। সিপিএম বা বিজেপি সদস্য যেখানে রয়েছে তারা কোনও কাজ করেনি তারা শুধু পঞ্চায়েতে প্রধান বা সমিতির দোষ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করেছেন ভারতের ইতিহাসে কোনও মুখ্যমন্ত্রী এরকম কাজ করেনি । স্কুলে জল জমার সমস্যা আমাকে আগে জানালে এই সমস্যা হত না । আমি খতিয়ে দেখেছি সমস্যা মিটে যাবে।’’
রাহী হালদার