লক্ষীজলার ইতিহাস জানতে গেলে একটু পিছনে ফিরতে হবে। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাবা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাল্যবন্ধু শুকলাল গোস্বামীকে এক বিঘা ১০ ছটাক জমি দান করেছিলেন। সেই জমিতে ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাবা কূলদেবতা রঘুবীরের নাম নিয়ে প্রতি বছর রথযাত্রার দিন ধান রোপণ করতেন। সেই ধানে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছোট্ট সংসার এবং অথিতি আপ্যায়ন হত। তারপরেও থেকে যেত। সেই পুরাতন চিরাচরিত কথাকে স্মরণে রেখে রথযাত্রার দিন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা লক্ষ্মীজলাতে ধান রোপন করেন।
advertisement
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ জানান, ” প্রতিবছর রথযাত্রার দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে আমরা সকলেই চাষের জমিতে ধান রোপণ করি। শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় তাঁর জমিতে অর্থাৎ লক্ষ্মীজলাতে চাষবাস করতেন। ধান রোপণের দিন ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় শ্রী শ্রী রঘুবীরের নাম করে তিনটি ধানের বীজ রোপণ করে দিতেন।”
Suvojit Ghosh