প্রশাসনের নাকের ডগায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে পোস্তু চাষ। গোঘাটের মান্দারন ও কাঁটালি এলাকায় বিশেষ করে এই পোস্ত চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। তিন মাস ধরে পোস্ত চাষ হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এলাকায় সাংবাদিকরা গেলেই কখনও পোস্ত চাষীরা লুকিয়ে পড়ছে আবার সাংবাদিকরা এলাকা থেকে চলে এলেই নাকি পোস্ত গাছ তুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
advertisement
তবে গোপন ক্যামেরায় পোস্ত চাষীরা জানিয়েছে, পুলিশকে নাকি বলেই তারা পোস্ত চাষ করছে। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে।
জানা গিয়েছে, বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ থেকে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে। কিন্তু অবৈধ পোস্ত কারবারিদের বিরুদ্ধে নালিশ জানানোরও সাহস নেই কারোর।
জানা গেছে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজারমূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত। কিন্তু পোস্তু চাষ বেআইনি। জেল জরিমানা হতে পারে। কিন্তু সেটা উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ।
আরও পড়ুন, ট্রেলার থেকে উদ্ধার ২২৪ কেজি গাঁজা, পাচারের কায়দা দেখে পুলিশের মাথায় হাত
আরও পড়ুন, রোমহর্ষক অভিযান! ভিনরাজ্য থেকে উদ্ধার নাবালিকা
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই প্রতিবছর পোস্তু চাষের রমরমা গোঘাটে। যদিও গোঘাট দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারী বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
Bapan Santra