আরও পড়ুনঃ গরমে জেরবার বাংলা! হুগলিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হল, প্রতিটি জেলাতেই এমন করা উচিত, কী ঘটল জানেন?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪টি প্রজাতির কয়েক হাজার প্রজাপতি আছে এই পার্কে। বাকি জমির দেড় বিঘায় জাপানি ‘মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে জঙ্গল। এর বৈশিষ্ট্য, খুব কম সময়ে, কম জায়গার মধ্যে ঘন জঙ্গল তৈরি হয়। অবশিষ্ট জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগান। দিঘির গা ঘেঁষে লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০০ নারকেল গাছ। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এই কাজ শুরু হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের নজরদারিতে চলে সুন্দর মনোরম এই পার্ক তৈরির কাজ। বর্তমানে যা যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সবজি বিক্রেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রোজেক্টের কাজ করা হয়। প্রজাপতির বংশ বৃদ্ধি যাতে হয় সেই অনুযায়ী গুল্ম, উদ্ভিদ লাগানো হয়েছে। লেবু, আকন্দ, রঙ্গন, আমলকি, কুল, আতা, তুলসি, কুলেখাড়া, ডুমুর, তিল ইত্যাদি গাছ-গাছালি লাগানো হয়েছে। আবার মধু সংগ্রহের জন্যেও মাধবীলতা, হাসনুহানা, অপরাজিতা, নয়নতারা, টগর, গাঁদা ইত্যাদি ফুলের চাষও হয়েছে। একটি জলাশয়ও করা হয়েছে, সেখানেও কিছু প্রজাতির প্রজাপতি খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে। পার্ক দেখাশোনার জন্য কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সবমিলিয়ে আরামবাগ ব্লকের বাতানলে এই পার্ক তৈরি হওয়ায় বেজায় খুশি এলাকার মানুষ।
Suvojit Ghosh





