প্রবীরবাবু সেভাবে হাঁটাচলা করতে না পারলেও গ্রামের ছেলে মেয়েদের পঠন পাঠন করিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানায় তার কাজ। জানা যায় এলাকার গরিব দুঃস্থ ছেলেমেয়েদেরও টিউশন পড়ালেও তাদের কাছে ন্যূনতম টাকা পর্যন্ত নেন না। কিন্তু যাদের বাড়িতে আর্থিক অবস্থা ভালো প্রবীরবাবুর সংসার চালানোর জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই টাকা নেন ।
advertisement
তার শিক্ষকতা এতটা জনপ্রিয় নিত্যদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবীর বাবুকে ট্রাই সাইকেল এর চাপিয়ে নিয়ে যায় তাদের স্কুলে শিক্ষকতা করার জন্য। তার এই শিক্ষাব্রতেমুগ্ধ গ্রামের মানুষজন। চাতরা গ্রামের গর্ব তিনি।
এই বিষয়ে প্রবীরবাবু জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এভাবেই ছাত্রছাত্রীদের পঠন -পাঠান করিয়ে আসছে। তিনি মনে করেন ছাত্ররা হচ্ছে দেবতা আর শিক্ষাঙ্গন মন্দির। যদি মন্দিরে দেবতারপুজোঠিক ভাবে করি তাহলে হয়তো একদিন না একদিন তাঁর এই লক্ষ্যে পৌছাবো পারবেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ভাবেই চলছে এই কাজ! পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাসিন্দাদের
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানায় ধারাবাহিকভাবে প্রবীরবাবুর প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল এলাকার গরিব ছেলে মেয়েদের কিভাবে জীবনে উন্নতি করবে সে নিয়ে তার একটা রিসার্চ করা তার হচ্ছে কাজ। বিশেষ ভাবে সক্ষম হয়েও সব কাজ সাবলীল ভাবেচালিয়ে যাওয়াই একটা নজির বিহীন ঘটনা।
Suvojit Ghosh





