গোঘাটের দামোদরপুর পশ্চিম মহিতোষ নন্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের পঠনপাঠন ব্যবস্থা আশপাশের এলাকায় সুবিদিত৷ বর্তমান সময়ে যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের ছেলেরা এখানে এসে ভর্তি হয় পড়াশোনার মান দেখে৷ অনেকে বেসরকারি স্কুল ছেড়ে দিয়েও এই স্কুলে ভর্তি হচ্ছে বলে জানা যায়।
advertisement
তাছাড়া, সরকারি স্কুল হলেও স্কুলের পরিকাঠামো বা অন্যান্য সমস্ত কিছুতে আর্থিক সাহায্য করে থাকেন এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন। এটি জেলার মধ্যে এমন একটি ব্যতিক্রমী স্কুল যেখানে টোটো ভাড়া করে দূর গ্রামের ছেলেরা নিজের গ্রামের স্কুল বাদ দিয়ে এখানে পড়তে আসে।
আরও পড়ুন: খিচুড়িতে ওগুলো কী? বাটি হাতে বিক্ষোভ অভিভাবকদের! অসুস্থ ৩ শিশু
সেই স্কুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অ্যাটেনড্যান্স রেকর্ড যে চালু হচ্ছে সেই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। অবশেষে এবার তা বাস্তবায়িত হল। খুদে পড়ুয়াদের কাছে থাকা কার্ড মেশিনে ঠেকালেই মুশকিল আসান। শুধু স্কুলে ঢোকা নয়, স্কুল থেকে বেরনোর সময়েও বাড়িতে অভিভাবকদের পৌঁছে যাবে কাছে এসএমএস। সম্প্রতি ডিজিটাল বায়োম্যেট্রিক সিস্টেমের শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল এই স্কুলে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিল পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন: অধীর চাইছেন ৮টা, ২টোর বেশি দিতে রাজি নন মমতা! বঙ্গে আদৌ হবে তো জোট?
এক অভিভাবক বলেন, ‘‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আমার ছেলেমেয়েদের নিরাপদে স্কুল পাঠাতে পারব। এছাড়াও, স্কুল কামাই করলে সেটাও আমরা জানতে পারব।’’ এই উদ্যোগকে অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু পাল জানান, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে সমস্ত কিছুই এরপর জানতে পারবেন অভিবাবকরা। কারণ স্কুলের সমস্ত ছেলেমেয়েরা কখন স্কুল পৌঁছচ্ছে এবং বাড়ি সঠিক যাচ্ছে নাকি সেই কথা কে মাথায় রেখে এই চিন্তা ভাবনা। সব মিলিয়ে স্কুলেই এবার নয়া উদ্যোগ নিয়ে চর্চা চলছে জেলার নাগরিক মহলে।
Suvojit Ghosh