হুগলির পুরশুড়ায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর দিগরুইঘাট সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির জন্য কৃষকদের থেকে জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন কৃষকরা। এর প্রতিবাদে একটি কমিটিও তৈরি করেছেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা। সেই কমিটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি পথে বিষয়টি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে 'দুর্বল' জেলায় নজর! সংগঠন চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় অভিষেক
advertisement
উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয় প্রায় ৯ বছর আগে। স্থানীয় কৃষকরা ওই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি দিতে রাজি থাকলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। ক্ষুব্ধ কৃষকদের দাবি, তৃণমূল সরকার তাঁদের দাবি মত ক্ষতিপূরণ দিতে রাজিও হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার থেকে অনেক কম অর্থ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
ক্ষুব্ধ কৃষকদের দাবি, তাঁদের বিঘে পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু সরকার মাত্র ৪ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সরকারের এই ক্ষতিপূরণ মেনে নিলে তাঁদের বিপুল লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবী অনিরুদ্ধ সিংহরায় নতুন করে এই মামলাটি নিয়ে নাড়া ঘাঁটা শুরু করেছেন। সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ কৃষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
উল্লেখ্য বাম জমানায় সিঙ্গুর সহ বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের জমি নেওয়ার সময় ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় এসে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। দেউচা পচামি কয়লা খনি প্রকল্পে রেকর্ড পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু পুড়শুড়ার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে এই ক্ষোভ তৃণমূল সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
শুভজিৎ ঘোষ