ফলে এবছর আলু উৎপাদন কতটা হবে তা নিয়ে সংশয়ে জেলার চাষিরা। সারা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয় হুগলি জেলায়। হুগলির কম-বেশি সব ব্লকেই আলু চাষ হয়। বিশেষত গোঘাট,তারকেশ্বর, পুরশুড়া, সিঙ্গুর, হরিপাল ও ধনিয়াখালি ব্লকে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের আলু তৈরি হয়। সারা রাজ্যের মানুষ এই জেলার উৎকৃষ্ট মানের আলু খান। ফলে এই জেলার আলু চাষের ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র রাজ্যবাসীর যে চরম ক্ষতি হল তা বলা বাহুল্য।
advertisement
আরও পড়ুন: পাটুলিতে জলের মিটার চুরি! ঘটনা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা কথা জানালেন মেয়র
এদিকে, আবার নতুন করে আলু বপন করতে সময় লাগবে অন্তত ১৫ দিন। অর্থাৎ আলু চাষের জমির ক্ষেত্রে যেমন সময় কমবে, তেমনই কমবে আলুর ফলন। এর ফলে আগামী দিনে আলুর বাজারে জোগান কমবে। এ বছর ধানের উৎপাদন যেভাবে কমেছে, তেমনই আলুর উৎপাদনও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক, কিন্তু শিক্ষার্থী নেই একটিও, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ
আলু চাষিরা জানাচ্ছেন, এ বছর এমনিতেই দেরিতে শুরু হয়েছে আলু চাষ। যেখানে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সমস্ত জমিতে আলু বসানো সম্পন্ন হয়ে যায়, সেখানে এবছর এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে আলু বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আবার যে সব জমিতে ইতিমধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছে, বৃষ্টির ফলে আলু বীজ পচে নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কিত চাষিরা।
অন্যদিকে, আলু চাষের জন্য যে সব জমিতে এখনও আলুর বপন হয়নি, অথচ জমি ইতিমধ্যে চাষ যোগ্য করা হয়েছে, সেই সমস্ত জমিও টানা বৃষ্টির ফলে কাদায় ভরে গিয়েছে। ফলে সেই জমি পুনরায় তৈরি না করে আলু চাষ করা সম্ভব হবে না। যে সব জমিতে বীজ বসানো হয়ে গিয়েছে, তাতে যেমন নতুন করে খরচ করে চাষীদের আলু বীজ বসাতে হবে, তেমনই আবার সার প্রয়োগ করে পুনরায় খরচ করে চাষীদের জমি তৈরি করতে হবে। ফলে চাষিরা এত খরচ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Suvojit Ghosh