বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কায়নাত পারভীনের পরিবার। বছর ১৫ এর কায়নাত ক্লাস নাইনের ছাত্রী। হঠাৎই গত কয়েক দিন ধরে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল সে। জ্বর না কমায় শুক্রবার তাকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদিকে যখন ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্ত মশার কামড়ে নাজেহাল জনজীবন, অন্যদিকে বৈদ্যবাটির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে ধরা পড়ে প্রশাসনের উদাসীনতার ছবি। বিভিন্ন নালা নর্দমা হয়েছে মশার আঁতুড় ঘর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন নালা নর্দমা সাফ করে না পৌরসভার লোকেরা। পুরসভাকে এই বিষয়ে জানানো হলে তাদের উত্তর থাকে এক মাস হয়নি। এখন পরিষ্কার করা হয়েছে, একমাস পেরোলে আবার পরিষ্কার করা হবে। এ ছাড়াও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ। ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গির গ্রাফের জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, কামান দাগলেন অধীর
ডেঙ্গিতে হুগলিতে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়। শেষ এক সপ্তাহে দুজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। জেলায় এই মুহূর্তে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। একটিভ রোগীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচশর ওপরে। হাসপাতাল গুলিতে মশারি খাটিয়ে রাখা হচ্ছে রোগীদের। জেলার সদর হাসপাতালগুলি শেষ দু'মাস ধরে সম্পূর্ণ ভর্তি ডেঙ্গি আক্রান্তদের নিয়ে। ডেঙ্গির আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।