স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত ৯ তারিখ রাত থেকে। সেই রাতে মৃত যুবক মানস চৌধুরীকে বাড়ি পৌঁছাতে আসে পার্থ দাস। হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা পার্থ মানসের বহুদিনের বন্ধু। মৃত মানস চৌধুরী হিন্দমটোরের দেবাইপুকুর এলাকার একটি আবাসনে একাই থাকতেন। তার পাশের ফ্ল্যাটে থাকে জ্যাঠার পরিবার।
আরও পড়ুনঃ মোহন-ইস্ট লড়াইয়ের উত্তাপ বাড়িয়ে দিল ওষুধ ব্যবসায়ীর ডার্বি গান, শুনুন…
advertisement
৯ তারিখ রাতে পার্থ এসে জানায় মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার মধ্যে মানস চৌধুরী পড়ে রয়েছে, তাকে যাতে বাড়িতে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। মানসের জেঠিমা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে মানসকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। তারপরের দিনই হঠাৎ ভোরবেলায় পার্থ এসে দরজা ডাকাডাকি করতে থাকে বলে মানস নাকি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছে।
পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ঘরে প্রবেশ করে দেখেন মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত লুটিয়ে পড়ে রয়েছে মানস চৌধুরী। তারপরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। আর.জি.কর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মানস।
আরও পড়ুনঃ পরিবেশ বাঁচাতে সাইকেলে চেপে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর যাত্রা
এই বিষয়ে মানস চৌধুরীর ভাই অরিজিত চৌধুরি তিনি জানান, ঘটনার পরেই উত্তরপাড়া থানায় তারা এফআইআর দায়ের করেন। যেদিন সকালে তার দাদার ঘর খুলতে যাওয়া হয় সেখানে আগে থেকেই দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা কারা সেই বিষয়ে কেউ জানেন না।
ঘটনার পরে দু’দিন পার্থ দাস লোকজন নিয়ে এসে বাড়ি পরিষ্কার করার নাম করে ঘরের মধ্যে থেকে অনেক কিছু জিনিস সরিয়ে নেয়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে তাদের পরিবার।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণের সোমবারে খানাকুলে ঘন্টেশ্বর শৈবতীর্থ মন্দিরের ভক্তদের ঢল
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ কী তা বলা যাচ্ছে না। তবে কেনই বা লোকটিকে মারা হল পুরোন কোন শত্রুতা নাকি অন্য কোন কারণ !
একইসঙ্গে এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন পুরো বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে মৃতদেহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।
রাহী হালদার