ভারতবর্ষে এই প্রথম কোনও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে হুগলিনদীর মিষ্টি জলের তীরবর্তী অঞ্চলে, নোনাজলের ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ রোপণ, সংরক্ষণ ও তার পর্যায়ক্রমিক বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের এই অভিনব প্রয়াস গ্রহণ করা হল । এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবন গোসাবা ব্লকের কুমীরমারি দ্বীপ থেকে ছয় ধরনের ম্যানগ্রোভ প্রজাতির মোট ২৫০টি চারা চন্দননগর কলেজে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
ভবিষ্যতে চন্দননগর কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এই চারাগুলির পরিচর্যা, সংরক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ করবেন। এই দিনের অনুষ্ঠানে চন্দননগরের উল্লেখিত অঞ্চলে মূলত কেওড়া, চাক কেওড়া, সুন্দরী, গেঁওয়া, বাইন, পশুর জাতীয় ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রায় ৩৪ প্রজাতির গাছের মধ্যে কেওড়াগাছ সর্বাধিক কার্বন ডাই-অক্সাইড তার শিকড়, কাণ্ড, ডালপালা ও পাতায় আটকে রাখতে পারে। এই গাছ উপকূলীয় মাটির ক্ষয়রোধ করে মাটিকে দেয় দৃঢ়তা ও উর্বরতা।
এক ঝলকে এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য :
- *চন্দননগর কলেজ সংলগ্ন গঙ্গাতীরবর্তী এলাকায় পাড়ের ভাঙন রোধ করা*।
- *জল এবং বাতাসের দূষণের মাত্রা কমানো*।
- *গাছের ফল ও পাতা মাছের খাদ্যের জোগান দেবে,এতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে*।
- *গাছগুলি বানর,পাখি এবং বিভিন্ন পতঙ্গের আশ্রয় ও খাদ্যের জোগান দেবে, ফলে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে*।
চন্দননগর কলেজের পক্ষ থেকে এই প্রয়াস ভারতবর্ষ তথা বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার বৃহত্তর আন্দোলনে একটি ক্ষুদ্র সংযোজন।
Rahi Haldar