যে স্কুলটি নিয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সেটি হল জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চরখয়রামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গঙ্গার ধারে নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে স্কুলটি। ছাত্ররা স্কুলে আসলে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। এই বুঝি নদী ভাঙ্গন গ্রাস করবে ছাত্র সমেত স্কুলকে। স্কুলের গা বরাবর এসে দাঁড়িয়েছে নদী ভাঙন। যে কোনও দিন নদীতে তলিয়ে যেতে পারে ওই বিদ্যালয়। গঙ্গার পাড়ে ওই স্কুলের মোট ছাত্র সংখ্যা ৫১ জন। রোজ স্কুলে আসে পড়ুয়ারা আর দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। ১৯৪৯ সালে চরখয়রামারী প্রাথমিক স্কুল তৈরী হওয়ার সময় গঙ্গার দূরত্ব ছিল দুই কিলোমিটার। সেই দূরত্ব এখন দু ফুটেরও কম। এই প্রাথমিক স্কুলে ৬২ জনের বেশি ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করত। সেই পড়ুয়ার সংখ্যা হয়েছে ৫০জন। অধিকাংশ পড়ুয়া স্কুলের পরিস্থিতির কারণে অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন - ষাঁড়ের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ পান্ডুয়ার গ্রামবাসীরা
আরও পড়ুন - শেওড়াফুলির পতিতা পল্লীর মন্টু পাইলট বাস্তবে একজন শিক্ষক!
১২ জুলাই নিউজ১৮ লোকালে প্রকাশিত হয় স্কুলের ওই দুরবস্থার খবর। ঠিক ৭ দিনের মাথায় হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশে ছাত্র-ছাত্রীয় শিক্ষকদের সুরক্ষার তাগিদের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়। স্কুলকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসন থেকে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানার জন্যবিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হুগলি জেলার প্রাথমিক স্কুলের চেয়ারপার্সন ও ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছেন আদালতে। ঘটনার ভয়াবহতা ও আশঙ্কাকে লক্ষ্য রেখে মামলাটি খতিয়ে দেখার জন্য আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে বিশেষ অফিসার রূপে নিয়োগ করা হয়েছে।
ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘকাল ধরে প্রশাসনকে জানানোর পরও স্থায়ী সুরাহা মেলেনি। প্রশাসনের তরফে স্কুলটি স্থানান্তরিত করে নতুন জায়গায় করার আশ্বাস দেওয়া হলেও আড়াই বছর অতিক্রম হয়ে গেলেও কোনও কাজ হয়নি। হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় স্থায়ী সমাধান পাওয়ার আশায় রয়েছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবক সকলেই।
রাহী হালদার






