এই বিষয়ে হুগলির ইটভাটা মালিক তারক ঘোষ জানান, বিগত পাঁচ বছর মাটি না তুলতে দেওয়ার কারণে ভাটাগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। করোনাকালে প্রায় অনেক শ্রমিকেরই কাজ হারিয়েছে। আস্তে আস্তে কাজ চললেও কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশিকা মাটি না তোলার।
advertisement
মহকুমায় চারটি থানা গোঘাট পুড়শুড়া খানাকুল এবং হুগলির আরামবাগ কমবেশি ৪০টা থাকলেও তাও ২০টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বহু দূর দূরান্ত শ্রমিক কাজে এলেও তাদেরও কাজ থেকে বাধ্য হয়ে ছাড়াতে হয়। বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ফলত আস্তে আস্তে এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বাড়ি করতে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবি কোটি কোটি টাকা খরচা করে ইটভাটাগুলি করলেও যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়বেন।
আরও পড়ুনঃরাজ্য সরকারের উদ্যোগ, র্যাগিং রুখতে শুরু অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর
অন্যদিকে এক শ্রমিকের বক্তব্য বর্তমান দিনে কাজ পাওয়া খুবই কষ্টকর। কোনরকমে ইটভাটাগুলি যোগাযোগ করে বহুদিন থেকেই কাজ করতাম কিন্তু মাটি না তুলতে দেওয়ার কারণে ইট আর তৈরি হচ্ছে ভাটাগুলিতে।
ধীরে ধীরে তৈরি করা ইট, তাও প্রায় শেষের দিকে। মালিকরা আর হয়তো ভাটা না চললে কাজে রাখবে না তাহলে কিভাবে সংসার চালাবে, সেই নিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকরা ভেবে কুল পাচ্ছেন না।
সবমিলিয়ে এখন দেখার সরকার কী ইটভাটা মালিকদের মাটি তোলার জন্য নির্দেশিকা দেবে এবং শ্রমিকদের রুটি রোজগার থাকবে না। এভাবেই সবকিছু হারাতে বসবে ভাটা মালিক থেকে শ্রমিকরা।
Suvojit Ghosh