পুরাণ মতে, স্নান যাত্রার পরেই প্রভু জগন্নাথের ধুম জ্বর আসে। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারে তাঁর। মুখের স্বাদ বদল করতে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান। বৃন্দাবন থেকে দ্বারকায় গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে লীলায় মেতে ওঠেন।
জগন্নাথ মালপোয়া, ক্ষীর, মন্ডা-মিঠাই, তাঁর প্রিয় খাবার পেয়ে আর ভক্তদের নিয়ে মজে থাকায় বৃন্দাবন ফিরে যাচ্ছেন না। লক্ষ্মী এসেও জগন্নাথকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলেন। সেই কথা শুনে বৃন্দাবন চন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে গিয়ে নালিশ করলেন। জগন্নাথকে পেটে মারতে হবে। অর্থাৎ তার খাবার যোগ বন্ধ করতে হবে। লেঠেল নিয়ে মাসির বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে খাবার লুট করা হয়। মালসায় ভরা নানা ধরনের খাবার লুট করে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। খাবার না পেয়ে পরদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টো রথে ঘরে ফেরেন জগন্নাথ। সেই রীতি আজও আছে। আর তা পালিত হয় গুপ্তিপাড়াতে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতে বেনজির পদক্ষেপ! প্রার্থী নির্বাচনে এ কী করল সিপিআইএম! তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
আরও পড়ুন: তুমুল দুর্যোগে মমতার চপার! আচমকা কপ্টারের জরুরি অবতরণে চোট মুখ্যমন্ত্রীর! এখন কেমন আছেন?
রীতি অনুযায়ী ঘোষেদের ছেলেরা এই ভান্ডার লুট করতে আসে। ভান্ডার লুট দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় গুপ্তি পাড়ায়।শু ধু হুগলি নয়, নদীয়া, বর্ধামান-সহ অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসেন।র থের দিন যে মেলা শুরু হয়, তা চলে একমাস ধরে।
রাহী হালদার