জানা যায় আলু এবং অন্যান্য ফসলের ব্যবসার টাকা আদায় করার জন্য সপ্তাহখানেক আগে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে ট্রেন তারপর অন্ধকার ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। মুহূর্তে বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি, দুর্ঘটনায় পড়েছে তাদের ট্রেন।
আরও পড়ুন: অলৌকিক…? ‘মৃত’ ছেলেই গিটার হাতে ফিরল বাড়ি! এমনও সম্ভব? ‘গল্প’ শুনলে চমকে যাবেন
advertisement
আরও পড়ুন: ৪০টি মৃতদেহে আঘাতের কোনও চিহ্নই নেই…! হাড়হিম সত্যি ফাঁস! ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
প্রাণে বাজবেন না জেনেই, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন সত্যচরণ বাবু। ততক্ষণে স্থানীয়রাও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিহতদের দেহ। সে দৃশ্য যেন এখনও চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া সত্যচরণবাবু কাছে। আরামবাগ হাসপাতালের বেডে শুয়ে এখনও যেন আতঙ্কের ঘোর কাটেনি তাঁর।
সত্যচরণ বাবু বলেন ব্যবসার কারণে ভুবেনশ্বরে টাকা আদায় করতে গিয়েছিলাম সপ্তাহখানেক আগে। কাজ সেরে যশবন্তপুর যাত্রীবাহী এক্সপ্রেসের আসার সময় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনটি ট্রেন ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বহু মানুষের মৃত্যু হয়। প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা করে ভাগ্যক্রমে সমস্ত ডকুমেন্ট শহর টাকা পয়সা ফেলে রেখে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। “স্থানীয় মানুষ এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় বেঁচে ফিরলাম” বলেন সত্যচরণ বাবু।
শুভজিৎ ঘোষ