স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে এক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাত সাড়ে নটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন। তখনই তিনি দেখতে পান রাস্তার ধারে একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ হেঁটে বেড়াচ্ছে। তৎক্ষণাৎ সেটিকে তিনি ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে কারণে একটি গামলায় জলের মধ্যে তাকে রেখে দেন।
advertisement
আজ সকালে বনদফতরে খবর দেন আমজাদ হোসেন। এরপরে বনদফতরের কর্মীরা এসে সেটিকে উদ্ধার করে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যান। সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনায়এলাকায় শোরগোল পরে যায়।
যদিও বিধায়ক বলেন, “রবিবার রাত্রে জয়পুর রোড দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপটিকে দেখতে পাই। সেটিকে বাড়ি নিয়ে এসে রেখে বনদফতরকে খবর দিই। বৃষ্টি হচ্ছিল হয়ত অন্য কোন জায়গা থেকে এটি এখানে চলে এসেছে। অন্য কেউ দেখলে এদিকে মেরে খেয়ে ফেলতে পারতো। তাই কেউ যাতে একে মেরে না ফেলে সেজন্যই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার একটাই অনুরোধ এই ধরণে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে যাতে মেরে না ফেলা হয়।”
বনদফতরে কর্মী সমাপ্ত নায়েক বলেন, বনদফতরের অফিসে ফোন করে জানানো হয় একটি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। সেইমতো পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে একটি কচ্ছপ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছি। দু থেকে তিন বছর বয়সী কচ্ছপের ওজন প্রায় দু কেজি। মনে করা হচ্ছে রাস্তার দুপাশে পুকুর রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার ফলে সেই পুকুর থেকেই কোনওভাবে উঠে এসছে এই কচ্ছপটি। এটিকে নিয়ে গিয়ে আবার নির্দিষ্ট একটি জলাশয় ছেড়ে দেওয়া হবে।
রাহী হালদার