মঙ্গলবার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এমনই একাধিক অভিযোগ উঠেছে গোঘাটের কামারপুকুর গ্রামীন হাসপাতালে বিরুদ্ধে। যদিও হাসপাতালের বিএম ওএইচ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই দায় চাপিয়েছেন।গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা শিক্ষক দেবীপদ সাঁই। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর,কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে ভুগছিলেন।মঙ্গলবার দোল উৎসবের জন্য হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করাতে যান দেবীপদ বাবু। তখন কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক সব্যসাচী রায়। কিন্তু প্রথমে হাসপাতালে দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। আধ ঘণ্টা পরে তাঁকে হাসপাতালে দেখা যায়।
advertisement
অভিযোগ, তখন অসুস্থতার কথা বলার পরেই চিকিৎসক চটে যান। চিকিৎসা করার বদলে তিনি শিক্ষকের কাছ থেকে পাল্টা কৈফিয়ত চান।জানতে চান, কেন তিনি আগে আউটডোর বিভাগে আসেননি? এমনকী জরুরী বিভাগ থেকে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তখন ওই শিক্ষক তাঁর মোবাইল ফোন বার করে ভিডিও করতে শুরু করেন। তখনই দেবীপদ বাবুর মোবাইল ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।এমনকী নানা ভাবে হেনস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষক কী ভাবে হওয়া যায়, সেই নিয়ে কটুক্তিও করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- গাড়ি তো নয়, যেন খাঁটি লোহা! পারিবারিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ টাটার এই চারচাকা
এক প্রকার হেনস্থা এবং অপমানিত হয়ে চিকিৎসা না করিয়েই ফিরে যেতে হয় ওই শিক্ষককে। তিনি স্বাস্থ্য দফতরে উর্ধ্বতন আধিকারিকদের অভিযোগ জানাবেন বলে জানান। কেন চিকিৎসা না করিয়ে এধরনের ব্যবহার একজন চিকিৎসকের? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে কামারপুকুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক সব্যসাচী রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ রণদীপ চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যাবহার করার অভিযোগ তুলেছেন।
বাপন সাঁতরা