গাড়ি কেনার আগে সাধারণত লুক কিংবা নানা রকম রকম ফিচার্স দেখে নেন গ্রাহকেরা। তবে আজকাল লুক কিংবা ফিচারের পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টাতেও আরও বেশি করে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ বিগত সারা বিশ্বে পথ দুর্ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিজেকে এবং নিজের প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সকলেই নিরাপদ গাড়ি কিনতে চান। ফলে গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও সে-দিকেই জোর দিচ্ছে। যদিও ৫-স্টার সেফটি রেটিং বিশিষ্ট গাড়ির দাম অনেকটাই বেশি হয়। আর এগুলি বেশির ভাগই প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির গাড়ি। কিন্তু টাটা সংস্থার একটি মাইক্রো এসইউভি রয়েছে, যা ৫-স্টার নিরাপত্তা রেটিং বিশিষ্ট। সব থেকে বড় কথা হল, এই গাড়িটির দামও বেশ কম। কথা হচ্ছে, টাটা পাঞ্চের।
টাটা পাঞ্চ একটি হ্যাচব্যাক গাড়ি। তবে এর লুক এবং ডিজাইন কোনও এসইউভি-র থেকে কম নয়। এর লুক Tata Nexon এবং Tata Harrier-এর মতো বড় মডেলের গাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে। অনেকেই আবার একে টাটা হ্যারিয়ারের ছোট সংস্করণ বলেন। টাটা পাঞ্চের ইঞ্জিনও অনেক শক্তিশালী। খারাপ রাস্তা এবং পাহাড়েও সহজেই চলতে পারে এটি। আর গাড়ির ডিজাইনও বেশ মাস্কুলার। যাঁরা ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার বাজেটে একটি এসইউভি কিনতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
টাটা পাঞ্চের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: Tata Punch-এ শক্তিশালী বিল্ড কোয়ালিটির সঙ্গে ১৫টিরও বেশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, পাওয়ার সেন্ট্রাল লকিং, ডোর-লক, চাইল্ড সেফটি লক, ২টি এয়ারব্যাগ, ডে অ্যান্ড নাইট রিয়ার ভিউ মিরর, প্যাসেঞ্জার সাইড রিয়ার ভিউ মিরর, রিয়ার সিট বেল্ট, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, অ্যাডজাস্টেবল সিট, ক্র্যাশ সেন্সর ইঞ্জিন, চেক ওয়ার্নিং, অটোমেটিক হেডল্যাম্প, EBDA অ্যাডভান্স সেফটি ফিচার্স, ব্রেক কন্ট্রোল, ফলো মি হোম হেডল্যাম্প, রিয়ার ক্যামেরা এবং ISOFIX চাইল্ড সিট মাউন্ট।
কেবিন বিলাসবহুল সুবিধা: টাটা পাঞ্চের কেবিনে রয়েছে ৭-ইঞ্চি হারমান-সোর্সড টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল-অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, চামড়ায় মোড়ানো ফ্ল্যাট-বটম স্টিয়ারিং হুইল, ক্রুজ কন্ট্রোল, স্বয়ংক্রিয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, স্টিয়ারিং-মাউন্টেড কন্ট্রোল। এছাড়াও রয়েছে এসি ভেন্ট, ড্রাইভ মোড (সিটি এবং ইকো), আইআরএ প্রযুক্তি এবং কনট্রাস্ট কালার অ্যাকসেন্ট-সহ একটি হাইট-অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট।