এলাকার এক বাসিন্দা সুনন্দন কর জানান, “শুধুমাত্র সিঙাড়াই নয়, এই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে আরও অনেক কিছু। তবে এই দোকানের সব চাইতে জনপ্রিয় খাবার হল আড়াই টাকার এই সিঙাড়া। এই সিঙাড়াই রীতিমতো জনপ্রিয় করে তুলেছে এই বৃদ্ধা মহিলা সুরবালা মণ্ডলকে। এই সিঙ্গাড়া বানানোর সঙ্গে সঙ্গেই হুড়মুড়িয়ে বিক্রি হয়ে যায় সব। তবে তিনি প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে করছেন এই দোকান।
advertisement
কিন্তু, এই দোকান করার বিষয় নিয়ে তাঁর চোখে মুখে কোন ক্লান্তির দেখা পাওয়া যায় না। যদিও বর্তমানে আগুনের ধারে বসে সিঙাড়া ভাজতে বেশ কষ্ট হয়। এ ছাড়া চোখের দৃষ্টিও অনেকটাই কমে এসেছে। তাই এখন তাঁর একমাত্র ছেলে সিঙাড়া ভাজেন। তবে সেই সিঙাড়া বানানোর কারিগর কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি। নিজে হাতে সিঙ্গাড়া বানিয়ে ভাজার জন্য ছেলেকে তৈরি করে দেন তিনি নিজেই।”
বৃদ্ধা সুরবালা মণ্ডল জানান, “বর্তমান সময়ে চোখে ছানি পড়েছে। তাই চোখে দেখতে খুব সমস্যা হয়। এ ছাড়াও আগুনের ধরে একটানা বসে থাকলে শরীর খারাপ করে। সেই কারণে তার একমাত্র ছেলে তাঁকে সিঙাড়া ভেজে দিতে সাহায্য করেন। তবে যেই সিঙাড়া দিয়ে তিনি সকলের কাছে পরিচিত হয়েছেন, “সিঙাড়া দিদা” নামে। সেই সিঙাড়া বানানোর কাজ তিনি কারও ভরসায় ছাড়তে পারবেন না। “সুরবালা মণ্ডলের একমাত্র ছেলে পরিতোষ মণ্ডল জানান, “তাঁর মা এখনও নিজে হাতেই সিঙাড়া তৈরি করে তাঁকে দেন ভেজে দেওয়ার জন্য। ছোট থেকে বড় সবাই তাঁর মায়ের হাতের তৈরি এই সিঙ্গাড়া খেতে খুব পছন্দ করে। তাই সেই ভালবাসার টানে যতদিন তাঁর শরীর চলবে এই ভাবেই সিঙাড়া বানানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর মায়ের।”
Sarthak Pandit