মানুষ যাতে হাতের কাছেই তালে তৈরি বিভিন্ন খাবার সহজে পেয়ে যান, তার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছিল ওই মিষ্টির দোকানটি। তালের তৈরি খাবারগুলির দাম রাখা হয়েছিল সাধারণ দামের মতোই। তালের রসগোল্লা অথবা তালের ক্ষীর কিনতে বহু মানুষ খুব সহজেই আকৃষ্ট হয়েছেন। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে দোকানের কর্মচারীদের।
আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ কোন কোন জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি? আশঙ্কার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
advertisement
জন্মাষ্টমীর চাহিদা মাথায় রেখে এই তিথির আগে থেকেই তালের তৈরি মিষ্টি, তালবড়া তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন দোকানের কর্মচারীরা। তবে তালের রসগোল্লা মানুষজনের মন কেড়েছে। সেই রসগোল্লার চাহিদা উঠেছে তুঙ্গে। প্রায় বেশিরভাগ ক্রেতারা দোকানে এসে খুঁজেছেন তালের রসগোল্লা, অথবা তালের ক্ষীর। একইসঙ্গে তালের বড়া বিক্রি হয়েছে ওই দোকানে।
জন্মাষ্টমীর আগে থেকে তালের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা তালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুগুণ। সেই জায়গায় হাতের কাছে একদম হাতেগরম তালের তৈরি খাবার পেয়ে খুশি ক্রেতারা। দুর্গাপুরের প্রসিদ্ধ ওই মিষ্টির দোকানে শহরের নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় জমিয়েছিলেন। রীতিমতো লাইন দিয়ে দোকান থেকে মিষ্টি কিনেছেন সকলে। জন্মাষ্টমী পেরিয়ে গেলেও তালের রসগোল্লার চাহিদা এখনও তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, একদিকে যেমন বাজারে তালের দাম বেড়ে গিয়েছে। তেমনভাবেই তালের মিষ্টি অথবা তালবড়া তৈরি কাজও যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। সেই দিক থেকে অনেকেই এই ব্যস্ততার মধ্যে এই সমস্ত জিনিসগুলি বানিয়ে ওঠার সময় পান না। যে কারণে ক্রেতারা বলছেন, হাতের কাছে একদম রেডিমেড তালের তৈরি জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া বাড়িতে তালের রসগোল্লা বা তালের ক্ষীর দোকানের মত করে বানানো বেশ কষ্টকর।
অন্যদিকে, বাজারে তালের দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফলে মিষ্টির দোকানে তালের রসগোল্লা বা তালবড়া হাতের কাছে পেয়ে খুশি সকলে। যদিও বিক্রেতারা জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে তালের রসগোল্লা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা দেখে তা এখনও বিক্রি হচ্ছে দেদার।
Nayan Ghosh