বালুরঘাট শহর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শহর হিসেবে চিহ্নিত। আর এই সাংস্কৃতিক শহরে ষষ্ঠী পুজো থেকে শুরু করে জামাই আদর সবকিছুতেই রয়েছে একটু ভিন্ন ধরনের ছোঁয়া। অত্যাধুনিক যুগে এখনও পর্যন্ত বালুরঘাট শহর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ষষ্ঠী পুজোকে সামনে রেখে বাড়ির মহিলাদের একত্রিত হয়ে দল বেঁধে পুজো করতে দেখা যায়। তবে জামাইষষ্ঠীতে এসেছে অনেক বদল।
advertisement
এখন অনেকে বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন না করে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এই পার্বণ পালন করে থাকেন জামাইয়ের পছন্দ অনুসারে খাবারের থালি সাজিয়ে। অন্যান্য বারের তুলনায় বালুরঘাট শহরের সেই চেনা দৃশ্য উধাও হয়ে গিয়েছে। বালুরঘাট শহরের বাজার ও তহবাজারের পূজার বাজার করতে ভিড় আগের বছরের তুললায় অনেকটাই কম বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ষষ্ঠী পূজার বাজার করতে সবজি, ফলফূল ও সাজ সরঞ্জাম কিনতে হাত পুড়ছে বাঙালির। দাম বেড়েছে শশা, আতপ চাল-সহ বহু জিনিসের। যার ফলে বাজার করতে এসে হতাশ মধ্যবিত্তরা। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানা যায় কলা ১২ টাকা জোড়া, শশা ৫০ টাকা কেজি, তরমুজ ৩০ টাকা কেজি, আপেল ২০০ টাকা কেজি, আঙুর ২০০ টাকা কেজি, লিচু ২০০ টাকা কেজি।
সবজির দামও আকাশছোঁয়া। আবার মাছের বাজারেও জামাই কিংবা শ্বশুর ঢুকলেই পকেট হচ্ছে ফাঁকা। ইলিশ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৬০০ টাকা কেজি, ট্যাংরা ৮০০ টাকা কেজি, কাতলা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন ষষ্ঠীর পাখার বাতাস, আম-লিচু খাবার পর, ভরপুর মধ্যাহ্নভোজ নিশ্চিত ছিল জামাইদের। তাতেই জামাইষষ্ঠী একেবারে জমজমাট। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। বর্তমান শাশুড়িরা জামাই ষষ্ঠীতে এখন জামাইকে রেস্তরাঁয় নিমন্ত্রণ করেন। কখনও চাইনিজ, কখনও আবার বিরিয়ানি খাওয়ান। এর ফলে যদিও বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা এড়িয়ে পরিবারের সবাই মিলে একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে পারেন।
সুস্মিতা গোস্বামী