মাঝে মাঝে লম্বা লাইনও পড়ে যায়। বিশেষত মিষ্টির দোকানে আলাদা করে লেখাই থাকে , 'এখানে হিংয়ের কচুরি পাওয়া যায়'। কারণ, কচুরি বলতে অনেকেই পুর দেওয়া লুচিকেই ভেবে থাকেন। কিন্তু এই কচুরি যে তেলেভাজার অন্যতম সঙ্গী হিং-এর মুচমুচে কচুরি। তার প্রতি কিন্তু বাঙালির ভালবাসা একেবারেই আলাদা। শহর জলপাইগুড়ি এখন বদলে গিয়েছে অনেকটাই,উন্নত হয়েছে রাস্তাঘাট। বেড়েছে সাধারণ মানুষের সংখ্যা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীয়ের ছবি হাতে খুঁজেই চলেছেন স্বামী, ঘরে কেঁদে অসুস্থ ২ দুধের শিশু!
কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও বদলায়নি সেই দোকানটি। আজও একই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। জলপাইগুড়ির মানুষের মন জয় করতে সেই একই স্বাদ ও মান বজায় রয়েছে যুগ যুগ ধরে। সেই দোকানটির নাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। ৮৫ বছরের বৃদ্ধ হোক বা ৮ বছরের নাবালক সবাই এক নামেই চেনে সেই দোকানকে। জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে বিশ্বনাথের হিংয়ের কচুরির দোকান বললেই শহরবাসীর বুঝতে ভুল হয় না।
আরও পড়ুন: আবীরে ত্বকে জ্বালা-পোড়া? ফুল-শাক-বিট-গাজর দিয়ে ভেষজ আবীর বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন মহিলারা
ঘরোয়া চায়ের আড্ডায় এই সুস্বাদু মুচমুচে হিংয়ের কচুরি ছাড়া যেন ভাবতেই পারেন না এই শহরের বাসিন্দারা। দোকানের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বনাথ রায় অবশ্য আর বেঁচে নেই। বংশ পরম্পরায় এখন দিব্যি হাসিমুখে ব্যবসা চালাচ্ছেন নাতি। রোজ সকাল থেকে শুরু হয় বিভিন্ন রকম পদ। রয়েছে কচুরি, সিঙ্গারা, নিমকি। শহরবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তারা। বংশ পরম্পরা ব্যবসা চালাচ্ছেন রাজু রায়। তিনি বলেন, 'তিন পুরুষের দোকান। আমরা এখনও সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছি। প্রথমে এই কচুরির দাম ছিল ২৫ পয়সা। সময়ের সঙ্গে জিনিসের দাম বাড়াতে এখন একটু দাম বেড়েছে। তবে মানুষের চাহিদা চোখে পড়ার মতো।' শহরের এক বাসিন্দা কচুরি নিতে এসে বলেন, 'জলপাইগুড়িতে কচুরির একটা দোকানের নামই চিনি তা হল বিশ্বনাথের কচুরি ভান্ডার। এক কথায় দুর্দান্ত। আমাদের দাদু ঠাকুরদারাও এই দোকান থেকে কচুরি সিঙ্গারা এসব মুখরোচক খাবার খেতেন। এখন আমরাও এই দোকান ছাড়া আর অন্য কোথাও যাই না'।
সুরজিৎ দে