আরও পড়ুন:ভারতে ওমিক্রনের থাবা, শিশুদের জন্য কতটা ভয়ের ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২০২০ সালের অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে রিসার্চাররা একটি ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট করে। সেটি করা হয় আমেরিকার ১০৩ জন কর্মীর ওপর, যারা হেলথকেয়ার সেক্টরে কাজ করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাড়িতে বসে। সেই কোম্পানির ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সময় ক্যামেরা অন করে রাখা বাধ্যতামূলক। সেই সকল কর্মীদের নিয়ে ৪ সপ্তাহের একটি স্টাডি পিরিয়ডে তাদের সামনে দুই ধরনের অপশন রাখা হয় ভার্চুয়াল মিটিংয়ের জন্য। একটি হল প্রথম দুই সপ্তাহ সেই কর্মীদের ক্যামেরা অন করে রাখতে হবে সকল ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সময় এবং পরের দুই সপ্তাহ সেই কর্মীদের ক্যামেরা বন্ধ করে রাখতে হবে সকল ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সময়। দ্বিতীয় অপশনে এই একই পদ্ধতি উল্টো করে করার কথা বলা হয়। ৪ সপ্তাহ পর দেখা যায় যে যে সকল কর্মী প্রথমে ক্যামেরা অন করে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন:নাগাল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের পরেই আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি উঠছে; জানুন কী আছে এই আইনে?
রিসার্চের মাধ্যমে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে সবসময় ক্যামেরা অন করে ভার্চুয়াল মিটিং করার ফলে, কর্মীদের ওপর তার খারাপ প্রভাব পড়ছে। অনেকেই সেই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ঠিকঠাক রেসপন্স করছে না এবং তার প্রভাব কাজের ক্ষেত্রেও পড়ছে। একটানা ক্যামেরা অন করে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সামনে বসে থাকার ফলে কর্মীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে সহজেই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ক্যামেরা অন করে রাখার খারাপ প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ছে কোম্পানির নতুন কর্মী এবং মহিলাদের ওপরে। জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে এই ধরনের সমস্যার নামকরণ করা হয়েছে জুম ফ্যাটিগ। করোনা মহামারীর জন্য যে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কালচার শুরু হয়েছে, সেই কালচার জন্ম দিয়েছে নতুন এই সমস্যার!