বেড়াতে গিয়ে হোটেলে সবার আগে বাথরুম দেখা অনেকের স্বভাব। খাট না থাক অসুবিধা নেই, বাথরুমটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া চাই, মনোভাবটা এমনই। ইদানীং বাথরুমের সঙ্গে ওয়াইফাই কানেকশনও দেখা হচ্ছে। ইন্টারনেট না থাকলে চলবে কী করে! মঙ্গলগ্রহে মানববসতি স্থাপনের লক্ষ্য নিয়েছেন উচ্চাকাঙ্খী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। সেখানে ইন্টারনেট কানেকশন না হলে চলে?
মঙ্গল গ্রহে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। স্টারলিঙ্ক যেমন আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়, মঙ্গলগ্রহে তেমনই পরিকাঠামো তৈরি করতে চান ইলন মাস্ক এবং তাঁর কোম্পানি স্পেসএক্স। ইতিমধ্যেই নাসা-কে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্সলিঙ্ক’। সম্প্রতি নাসা-এর ‘মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম অ্যানালাইসিস গ্রুপ’-এর মিটিংয়ে এই সম্পর্কে খুঁটিনাটি পেশ করা হয়। সেখানে ইলন মাস্কের কোম্পানি জানিয়েছে, স্পেসএক্স মঙ্গলের কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করে ডেটা বিনিময়ের জন্য সিস্টেম তৈরি করবে।
advertisement
আরও পড়ুন : এ বছর ইতুপুজো শুরু কবে? ব্রত শেষে বিসর্জনই বা কবে? জানুন ব্রতপালনের নিয়ম ও ফলাফল
বর্তমানে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ১০২-টিরও বেশি দেশে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়। একদম একইরকম নেটওয়ার্ক মঙ্গল গ্রহে তৈরি করতে চান মাস্ক। মার্সলিঙ্ক তৈরি হলে শুধু মঙ্গলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে তাই নয়, মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যে যোগাযোগও সহজে হয়ে যাবে। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত গবেষণার কাজে নাসা-এরও সুরাহা হবে।
ব্লু রিং অরবিটাল টাগ: ব্লু অরিজিন নামের একটি কোম্পানি ‘ব্লু রিং অরবিটাল টাগ’-এর আইডিয়া নিয়ে এসেছে। মহাকাশে ডেটা পাঠানো এবং ক্লাউড কম্পিউটিং প্রসেসিংয়ের জন্য এটা ব্যবহার করা হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি পেন্টাগনের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ‘ডার্ক স্কাই ১ মিশন’-এর জন্য ব্যবহার করা হবে, তবে এর উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন : খেয়েছেন তো বহুবার! বলুন দেখি পোলাও এবং বিরিয়ানির মধ্যে তফাৎ কী? বলতে পারবেন না ৯৯%! জানলেই জিভে জল!
ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক: লকহিড মার্টিন আবার বলছে, ২০১৩ সালে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে পাঠানো ম্যাভেন মহাকাশযানকে কাজে লাগানো হোক। তাদের মতে, এই মহাকাশযানকে নাসা-এর ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মতো করে ব্যবহার করা যেতে পারে। যা পৃথিবীতেই তৈরি।
বলে রাখা ভাল, মঙ্গলে ভবিষ্যতে মানুষ পাঠানোর মিশনের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সম্পদ সরবরাহ করতে পারে এমন বেসরকারি স্পেস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধার কথা ভাবছে নাসা। লেজার-ভিত্তিক প্রযুক্তি নিয়েও কাজ। তবে মানুষ পাঠানো এবং তাঁদের ফিরিয়ে আনা, জ্বালানি, অক্সিজেনের যোগান ইত্যাদি কীভাবে হবে তার সমাধান মেলেনি।