TRENDING:

EXPLAINED: করোনার একটা টিকাতেই কাবু হবে সব ভ্যারিয়ান্ট, জেনে নিন মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন নিয়ে!

Last Updated:

করোনার ক্ষেত্রেও এই ধরনের একটি ভ্যাকসিনের ঘোষণা করা হয়েছে লন্ডনে। যেখানে ভ্যাকসিনের আপডেট করা হয়েছে। (EXPLAINED) (Coronavirus Vaccine)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: করোনা বার বার নিজের রূপ পরিবর্তন করে আক্রমণ করছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে বেশ কিছু মারাত্মক সমস্যা। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকে কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। এর থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে করোনা টিকা ও বুস্টার ডোজ একসঙ্গে নেওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে উঠছে । এবং করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্টের সঙ্গে লড়াই করতে সমর্থ হচ্ছে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা সহ বিভিন্ন ভাইরাস আটকানো সম্ভব হয়। কারণ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন আপডেট করা হয়। করোনার ক্ষেত্রেও এই ধরনের একটি ভ্যাকসিনের ঘোষণা করা হয়েছে লন্ডনে। যেখানে ভ্যাকসিনের আপডেট করা হয়েছে। যা বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত। তাকে বলা হচ্ছে মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন (Multivariant Vaccine)।
করোনার একটা টিকাতেই কাবু হবে সব ভ্যারিয়ান্ট, জেনে নিন মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন নিয়ে!
করোনার একটা টিকাতেই কাবু হবে সব ভ্যারিয়ান্ট, জেনে নিন মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন নিয়ে!
advertisement

মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন কী?

করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ফের প্রকাশ পেতে পারে এই আশঙ্কা করছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইজরায়েল, ফ্রান্স, জার্মানি সহ একাধিক দেশ। এবং নতুন ভ্যারিয়ান্টের প্রভাবে যাতে মারাত্মক পরিস্থিতি না তৈরি হয় তার জন্য ওই দেশের নাগরিকদের জন্য বুস্টার ডোজ দিচ্ছে সেখানকার সরকার। এমনকী বিভিন্ন করোনা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাও তাদের তৈরি ভ্যাকসিন আপডেট করতে প্রস্তুত হচ্ছে। যাতে করে করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়ান্ট এলে যেন তা প্রতিহত করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বেশি দিন ধরে রাখা যায়, তার জন্যও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

advertisement

আরও পড়ুন: করোনা হলে কি শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে? যা জানা জরুরি...

বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি দেওয়া হচ্ছে তাতে যথেষ্ট পরিমাণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে। এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও যাঁদের শরীরে করোনা আক্রমণ হচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুব একটা মারাত্মক হচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।

advertisement

করোনা থেকে বাঁচতে এখনও পর্যন্ত একটি উপায়ের কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের, বক্তব্য গণহারে টিকাকরণ করলে করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই এক্ষেত্রে করোনা বুস্টার ডোজ দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ কী ভাবে কাজ করে?

করোনা ভাইরাসের মধ্যে থাকে একটি স্পাইক প্রোটিন। করোনা ভ্যাকসিন সেই স্পাইক প্রোটিনের উপর প্রথমে আক্রমণ করে। যার আকৃতি অনেকটা মুকুটের মতো। এবং ওই স্পাইক প্রোটিনের গঠন যেহেতু মুকুটের মতো অর্থাৎ ক্রাউনের (Crown) মতো ,তাই ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে করোনাভাইরাস। ওই স্পাইক প্রোটিনই মানব দেহের কোষের মধ্যে প্রথম হামলা চালায়। বিজ্ঞানীরা এমনভাবে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছেন যাতে ভ্যাকসিনটি মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সক্ষম হয়। এবং করোনার স্পাইক প্রোটিন মানব শরীরে আক্রমণ করলে তাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমর্থ হবে।

advertisement

আমেরিকার গ্রিটস্টোন (Gritstone) নামে একটি সংস্থা রয়েছে যারা মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ওই ভ্যাকসিনটির নাম জি আর টি-আর ৯১০ (GRT-R910)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ভ্যাকসিনটি স্পাইক প্রোটিন এবং নন স্পাইক প্রোটিনের উপর কার্যকরী।

আরও পড়ুন: কী খেল দেখাতে চলেছে করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্ট? কেন সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ...

advertisement

গ্রিটস্টোনের সি ই ও, অ্যান্ড্রু অ্যালেন (Andrew Allen) বলেন, “ভাইরাসের চারিদিকে থাকা প্রোটিন যেমন স্পাইক প্রোটিনের বৃদ্ধি ঘটছে। করোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট কিছু স্পাইক প্রোটিনের উপর কার্যকর হয়। কিন্তু আমরা কাজ করছি এমন একটি ভ্যাকসিন নিয়ে যা বিভিন্ন ধরনের কোভিড ভ্যারিয়ান্ট এবং স্পাইক প্রোটিনের উপর কার্যকর হবে। আমাদের যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ করছি তার নাম GRT-R910। ”

এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে গ্রিটস্টোনের তৈরি করা ভ্যাকসিনটি সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন। যেটি মূলত ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিনের কার্য ক্ষমতা অনেকটা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

এর সঙ্গে অ্যান্ড্রু অ্যালেন আরও জানিয়েছেন, “আমদের তৈরি GRT-R910 ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। এবং প্রথম জেনারেশন বা ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিনের মতো রোগ প্রতিরোধ করবে পাশাপাশি করোনার অনেক ভ্যারিয়ান্টের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকবে। করোনার বুস্টার নিলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে GRT-R910 ভ্যাকসিন নিলেও একই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।”

বর্তমানে ব্রিটেনে ওই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল রান চলছে। মূলত ২০ জনের একটি গ্রুপের উপর ভ্যাকসিনটি ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। ওই গ্রুপে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৬০ বছরের উপর। এদেশে মূলত কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে প্রথম থেকে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন, অন্য দিকে GRT-R910 ভ্যাকসিনটি RNA প্ল্যাটফর্মে তৈরি হওয়া একটি ভ্যাকসিন।

সারনা (SARNA) প্ল্যাটফর্ম কী?

কোভিডকে সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করতে সচেষ্ট সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা। কোভিড থেকে কী ভাবে মুক্ত করা যায় দেশ, তার জন্য বিভিন্ন গবেষণা চলছে। আবিষ্কার হচ্ছে নতুন কিছু। জানা গিয়েছে যে এবার আসতে চলেছে mRNA ভ্যাকসিন। কোভিডের বিরুদ্ধে যা অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হচ্ছে। mRNA ভ্যাকসিনগুলি ইমিউন সিস্টেমে একটি জেনেটিক ইনফর্মেশন দেখে ভাইরাসের উপর আক্রমণ হানে।

বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে তার মধ্যে একদম নির্দিষ্ট ভাবে করোনাভাইরাস থাকে না। এবং সেই কারণে এই ভ্যাকসিনগুলি সেফ এবং প্রস্তুত করতে কম সময় ব্যয় হয়। তাই এটা মনে করা হয়, কোনও ভ্যাকসিনে সেই রোগের নির্দিষ্ট ভাইরাস না থাকলে সেই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। একটি saRNA ভ্যাকসিন mRNA ভ্যাকসিনের মতোই কার্যকরী। mRNA-এর m এখানে মেসেঞ্জার (Messenger) বোঝাতে ব্যবহার হয়। mRNA প্ল্যাটফর্মে তৈরি ভ্যাকসিনগুলি স্পাইক প্রোটিন তৈরির জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কাছে বার্তা দেয়।

গ্রিটস্টোনের ভ্যাকসিন কখন বাজারে আসবে?

গ্রিডস্টোনের তৈরি করা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় NHS ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে ওই ট্রায়াল চলছে। মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের শুরুর দিকে ট্রায়ালের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রেও দু'টি ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে ৬০ বছর বয়সীদের উপরে যাঁদের বয়স তাঁদের উপর ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে।পরবর্তীতে অনান্য বয়সীদের উপরেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেওয়া হবে। এবং তার পর সবুজ সঙ্কেত মিললে টিকাকরণ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজ আদতে কাদের প্রয়োজন?

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED: করোনার একটা টিকাতেই কাবু হবে সব ভ্যারিয়ান্ট, জেনে নিন মাল্টিভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিন নিয়ে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল