প্রশ্ন: কলকাতায় এলেন, বাঙালি খাবার দিয়ে পেটপুজো হল তো?
বরুণ: অবশ্যই! মিষ্টি দই খেলাম। আরও কয়েকটা কিনে নিয়েছি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কিয়ারা: দুপুরে প্রচুর খেয়েছি। বিরিয়ানি, রাম বল, গলৌটি কবাব, বড় বড় রসগোল্লা! বাপ রে। পেট ভরে গিয়েছে।
প্রশ্ন: কিয়ারা, 'ভুল ভুলাইয়া ২'-এর প্রচারের সময়ে আপনি তো বলেছিলেন কার্তিক আরিয়ানের ভক্তদের চুরি করে নেন, বরুণের ভক্তদের ক্ষেত্রে?
advertisement
বরুণ (কিয়ারা জবাব দেওয়ার আগেই): হ্যাঁ ও তো আমার ভক্তদের চুরি করার পরিকল্পনাই করছে। সেটা বুঝতে পারি।
কিয়ারা: (হেসে) মোটেও না। কার্তিকের ভক্তদের চুরি করিনি, বরুণের ভক্তদের চুরি করারও কোনও পরিকল্পনা নেই। এ সব মজার কথা।
প্রশ্ন: 'যুগ যুগ জিও'-র ছবিটি বেছে নেওয়ার কারণ কী?
কিয়ারা: বিবাহ বিচ্ছেদের গল্প এই আঙ্গিকে আগে কেউ কোনও দিন বলেনি। পরিচালক রাজ মেহতা সেই ক্ষমতা রাখেন, যেখানে কিনা এই ধরনের গল্পকে এই মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায়। এ রকম একটা পারিবারিক গল্পকে তিনি বাণিজ্যিক মোড়কে ফেলেছেন। আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্য যে সব ধরনের দর্শকের মন জয় করা কঠিন। কিন্তু এই ছবিতে সব রকম উপাদান থাকায় আমার বিশ্বাস সেই অসম্ভবকেও সম্ভব করা যাবে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সি চড়লেন বরুণ-কিয়ারা, ঘুরলেন ভিক্টোরিয়া
বরুণ: (হেসে) ছবির মূল মন্ত্র, ভাল স্ত্রী, ভাল জীবন।
কিয়ারা: না না, মূল মন্ত্র জানতে গেলে ২৪ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রশ্ন: বরুণ আপনার বাবা কেমন আছেন?
বরুণ: এখন অনেক ভাল। ডায়াবেটিসের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুম্বই মেট্রোয় এ কী করলেন বরুণ-কিয়ারা! আইনি পদক্ষেপের দাবি উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে
প্রশ্ন: বাবাকে ছেড়ে দূরে দূরে প্রচার করতে এলে দুশ্চিন্তা হয়?
বরুণ: কাজ তো করে যেতে হবে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে কত মানুষকে। যখন শুরু করেছিলাম, তখন বাবার শরীর ভাল ছিল না। কিন্তু এখন ভাল আছেন অনেকটা। বাড়ি ফিরে এসেছেন। আমিও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি।
প্রশ্ন: কিয়ারা কি বিয়ের কথা চিন্তাভাবনা করছেন?
কিয়ারা: নিশ্চয়ই বিয়ে করব, এ জন্মেই করব। আর করার সময়ে সবাইকে জানিয়ে দেব।