নিউজ১৮বাংলার সাক্ষাৎকারে গৌতম ঘোষ জানান, "তেলেগু ছবি বানানোর অনেক আগে আমি সমরেশ বসুর সঙ্গে শ্রীমতি ক্যাফে নিয়ে কথা বলেছিলাম। এরকম একটি মজার উপন্যাসের সিনেমাটিক রূপান্তরের জন্য আমি সমরেশ বসুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। চিত্রনাট্যও প্রস্তুত ছিল। আমি ভোজনানন্দ তালুকদারের চরিত্রে উত্তম কুমারকে কাস্ট করতে চেয়েছিলাম। চরিত্রটি ভোজু লাত নামে জনপ্রিয় ছিল যিনি একটি ক্যাফের মালিক ছিলেন। আমি যখন তাকে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম তখন উত্তমবাবু খুব খুশি হয়েছিলেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির বউয়ের জন্মদিন পালনে দাদু উত্তম কুমারের পথেই নাতি গৌরব! স্মৃতিচারণ করলেন দেবলীনা
গৌতম ঘোষকে পরের প্রশ্ন করা হয়, তবে কি সেই ছবি বানানোর কথা এখন আবার ভাবতে চান? উত্তরে তিনি জানান, "অন্য কোনও অভিনেতাকে তারপর আর প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবিনি। তারজন্য প্রজেক্টটা আর হয়নি। এটা আমার একটা আক্ষেপ রয়ে গেল, ওঁর সঙ্গে একটা কাজ করা হল না। ছবির বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল ১৯১৯-২২ পর্যন্ত্য সেই প্রেক্ষাপটেই হয় হত সিনেমাটা। এখনও করা যায়, আমি অনেকবারই ভেবেছিলাম, কিন্তু বারবার ভেবেছি যে ওঁনাকে নিয়ে ভেবেছিলাম, তারপর ওটা কে করবে? কয়েকজন অভিনেতার রিপ্লেসমেন্ট হয় না।"
আরও পড়ুন: ফের মাদক চক্রান্ত! শ্রদ্ধা কাপুরের ভাই সিদ্ধান্ত কাপুরকে তলব করল বেঙ্গালুরু পুলিশ
সিনেমায় আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট অভিনেতার অভিনয়ের কথা হয়ে গিয়েছিল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, রবি ঘোষ এবং মমতা শঙ্করের মুখ্য ভূমিকায় থাকার কথা ছিল। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলেছিল। পরিচালক হায়দ্রাবাদ থেকে ফিরেই সিনেমার কাজ শুরু করবেন। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। প্লেনে আসার সময়েই শোনেন মহানায়কের মহাপতনের কথা। উত্তম কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী পরিচালক গৌতম ঘোষের জন্মদিন একই তারিখে পড়ে, তাই প্রতিবছর ওই দিনে খুব কষ্ট হয় তাঁর।