লালবাজার থেকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে নিয়েছিলেন তথাগতরা। মোট ৭০-৮০ জনের টিম নিয়ে শ্যুট হয়েছে। রাত ৮-৯টায় লোকেশনে পৌঁছে গেলেও সাড়ে রাত ১০টার আগে কোনও মতেই শ্যুট শুরু করতে পারছিলেন না তাঁরা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোক এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে। এবং সেই ঝামেলা চলছে রাত ১টা বা কখনও কখনও দুটো পর্যন্তও।
advertisement
স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর থাকলেও তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিলেন না। তাঁদের সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়া সত্ত্বেও কোনও সুবিধ পাননি পরিচালক। যখন তখন বাইকে চেপে লোকে এসে গুন্ডাগিরি করে যাচ্ছিলেন বলে দাবি পরিচালকের। কখনও আবার মত্ত ব্যক্তি ক্যামেরার সামনে চলে আসছিলেন।
একটি শটে রুকমা যৌনকর্মী সেজে অভিনয় করছিলেন। ক্যামেরা চলছিল একটানা। তাই কলাকুশলীরা নানা জায়গায় লুকিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রুকমাকে একা দেখে আচমকা একটি বাইকে দু'জন এসে নাকি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে কলাকুশলীরা বেরিয়ে আসায় তাঁরা পালিয়ে যায়, জানালেন তথাগত। তা ছাড়া ক্যামেরা দেখে ইচ্ছে করে নাকি বাইকে করে যাতায়াত করছিল লোকেরা। এলাকার মানুষকে যথেষ্ট টাকা দেওয়া হয়েছিল, তার পরও কেউ কেউ হঠাৎ হঠাৎ এসে টাকার দাবি করেছেন বলে জানালেন তথাগত। সঙ্গে গালিগালাজ তো চলছেই। পরিচালকের আক্ষেপ, 'ভটভটি'র শ্যুটিংয়ের সময়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হননি তিনি। বাগবাজারে দিনের বেলা একেবারে অন্য চেহারা দেখা যায়। রাতের বেলা পাল্টে যায় সব।
আরও পড়ুন: 'সোনার কেল্লা'র সিক্যুয়েলে ফেলুদা মৃত না জীবিত? কী বললেন পরিচালক 'মুকুল'
যেহেতু সিঙ্গল শটের ছবি, তাই বার বার কাজ থামিয়ে নতুন করে শ্যুট শুরু করতে হয়েছে তথাগতদের। ভোর ৪-৫টার আগে কোনও দিনই প্যাক আপ হয়নি। তার পরেও যে কাজ শেষ করতে পেরেছেন, এবং শ্যুট ভাল হয়েছে, সেটা ভেবেই স্বস্তিতে পরিচালক। তথাগতর কথায়, "দর্শককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা হবে এই ছবিটি দেখলে। সেই কথা রাখব আমি।"
আরও পড়ুন: সন্দীপ রায়ের চোখে নতুন 'ফেলুদা' ইন্দ্রনীলই! তোপসে, জটায়ুর চরিত্রে কারা