২২ মে ছিল প্রয়াত অভিনেত্রীর জন্মদিন৷ সেদিন তাঁর ভিডিও শেয়ার করেছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইলে৷ শারীরিক অসুবিধা সত্ত্বেও কেন রাজি হলেন ‘বেলাশুরু’-তে অভিনয় করতে? রাজি হলেন শিবপ্রসাদ ও নন্দিতার জন্য৷ স্বাতীলেখার কথায়, পাঁচ বছর পর তিনি আবার ছবিতে অভিনয় করার জন্য সম্মত ছিলেন না৷ কিন্তু শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা যে আদর দিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি৷
advertisement
স্বাতীলেখার ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে জুড়ে আছেন, জড়িয়ে আছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ স্বাতীলেখা বলেছেন, তাঁর কখনও মনে হয়নি বাইরের কোনও বড় ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ বরং তাঁর মনে হয়েছে অতি নিকটজনের সঙ্গে অভিনয় করছেন তিনি৷ ‘‘আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করে খুব আনন্দ পেয়েছি৷’’ স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি স্বাতীলেখার৷ তিনি অভিভূত শিবপ্রসাদ ও নন্দিতাকে নিয়েও৷ তাঁরা যে আদর দিয়ে, যত্ন করে তাঁকে রেখেছিলেন, তা অভাবনীয়৷
আরও পড়ুন : কেমন লাগল ‘বেলাশুরু’, জানালেন সন্দীপ রায়
শিবপ্রসাদকে তিনি নিজের ছেলের মতো মনে করতেন৷ নিজেই বলেছেন তিনি৷ পরিচালক হিসেবে তাঁরা অসামান্য, অনুভূতি স্বাতীলেখার৷ প্রথমে কাজ শুরু করতে গিয়ে তিনি কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন৷ কিন্তু ঠিক করেছিলেন এই দুই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবেনই তিনি৷ এত ভাল পরিচালক পাওয়া মুশকিল, দরাজ সার্টিিফকেট স্বাতীলেখার৷ দু’জনকে আগামীর জন্য একরাশ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন : পল্লবী চলে গিয়েছেন বহুদূরে, কেমন আছে তার প্রিয় পোষ্যরা?
‘বেলাশুরু’-র চিত্রনাট্য তিনি অন্তত একশো বার পড়েছেন৷ জানান স্বাতীলেখা৷ তাঁকে আশ্বস্ত করে নন্দিতা বলেছিলেন ‘বেলাশেষে’-এর তুলনায় ‘বেলাশুরু’ তাঁর কাছে মসৃণযাত্রাপথ হবে৷ যদিও তা হয়নি শেষ অবধি৷ বরং বিপরীতটাই হয়েছে৷ কিন্তু স্বাতীলেখা নিজেকে প্রস্তুত করেছেন৷ কল্পনার জাল বুনে তিনি প্রস্তুত হয়েছেন এই চরিত্রটার জন্য৷
আরও পড়ুন : ‘এই বেলা শেষ হওয়ার নয়’...সৌমিত্র ও স্বাতীলেখাকে সম্মান জানিয়ে আমুলের শ্রদ্ধা
প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর এই ভিডিও শেয়ার করে শিবপ্রসাদ তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ লিখেছেন, ‘‘দ্যাখো কতো মানুষ তোমায় ভালবাসে। সবাই বলছে তোমার কথা। ’’
( ছবি : ফেসবুক)