ফ্ল্যাটের দালাল রফিক মার্চেন্ট সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই বাড়ির মালিক (প্রবাসী ভারতীয়) কয়েক মাস আগে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেক দিন পর্যন্ত ভাড়াটে না পেয়ে তাঁকে এই কাজে নিযুক্ত করেন। একাধিক ভাড়াটে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ইতিমধ্যে। মাসে ৫ লক্ষ টাকা করে ভাড়া পাওয়া যাবে। তা ছাড়া বাড়ির মালিক সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা পাবেন প্রথম মাসেই।
advertisement
আরও পড়ুন: শাহরুখের নাম পাল্টে দিলেন আলিয়া! নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কারণ, জানেন কী
রফিক বললেন, ''এক ভাড়াটে পাওয়া গিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। সুশান্তের ঘটনার পর অনেকগুলি বছর কেটে গিয়েছে বলে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে আর খুব একটা অস্বস্তি হচ্ছে না কারও।''
আরও পড়ুন: হাতে কাজের অভাব? কত টাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন সোনম!
যদিও রফিকই আগে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন ভাড়াটেরা। তাই বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে। তার পর ধীরে ধীরে লোকে ঘর দেখতে গিয়েছেন, কিন্তু শেষমেশ ভাড়া নেননি। রফিকের কথাতেই জানা যায়, বাড়ির মালিক ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বাছবিচার করছেন এখন। ভাড়া কমালে হয়তো সহজে ভাড়াটে পাওয়া যেত। কিন্তু তিনি সেটা করতে চান না। কেবল তা-ই নয়, সুশান্তের ঘটনার পর কোনও খ্যাতনামী বা সেলিব্রিটিকে এই বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষকে ভাড়াটে খুঁজছেন তিনি।
মন্ট ব্ল্যাঙ্ক নামে এই অ্যাপার্টমেন্টটি ২০১৯ সালে ভাড়া নেন সুশান্ত। আড়াই হাজার স্কোয়ার ফিটের এই ডুপ্লে ফ্ল্যাটটি একেবারে সমুদ্রের সামনেই। এই বাড়িটির সঙ্গে ছাদও পাওয়া গিয়েছে। চারটি শোওয়ার ঘর রয়েছে। সূত্রের খবর, এই বাড়ির জন্য মাসে মাসে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ভাড়া দিতেন সুশান্ত। তৎকালীন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ছাড়াও ওই বাড়িতে থাকতেন সুশান্তের রুমমেটরা।