‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar) তিহার জেলে এক বিলাসবহুল অফিস চালাচ্ছিলেন। সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল ওই জেলে তাঁর জন্য। শুধু তাই নয়, সুকেশের কাছে ওই জেলে বলিউডের ১০ অভিনেত্রী-সহ আসতেন এক সুপার মডেলও। ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় হাজতবাস করছে দেশের সবচেয়ে বড় কনম্যান সুকেশ ৷
আরও পড়ুন-‘Alexa’-র মাধ্যমে ৩ বছরের শিশু অনলাইনে যা অর্ডার করল, দেখে সবারই চক্ষু চড়কগাছ !
advertisement
মহাঠগ সুকেশ চন্দ্রশেখরের ঘটনায় সম্প্রতি অনেক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। চন্দ্রশেখর প্রায় ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতির মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছিল অনেক নামীদামী ব্যক্তির। এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলিউডের অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) ও নোরা ফতেহিকে (Nora Fatehi)। কিন্তু অনেকেই আশঙ্কা করছেন সিনেমাজগতের সঙ্গে জড়িত আরও কিছু নামও হয়তো পরবর্তী সময়ে বেরিয়ে আসতে পারে।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার অনেক চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুকেশ চন্দ্রশেখর তিহার জেলে একটি বড় ও বিলাসবহুল অফিস চালাচ্ছিলেন, যেখানে তিনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সুকেশ জেলে বিলাসবহুল পার্টিও করতেন এবং তাঁর মহিলা বন্ধুরাও এই পার্টিতে যোগ দিতেন। জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন ১০ জন অভিনেত্রী; আসতেন এক সুপার মডেলও।
ইডি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মহাঠগ সুকেশ চন্দ্রশেখর তিহার জেল থেকে তাঁর বিলাসবহুল অফিস চালাচ্ছিলেন। জেলে নির্মিত এই অফিসটি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত ছিল। তিহার জেলে চন্দ্রশেখর নাকি রীতিমতো চাঁদের হাট সাজিয়ে বসেছিলেন। কী ছিল না তাঁর অফিসে, সোফা, ফ্রিজ, টিভির মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত ছিল চন্দ্রশেখরের কক্ষ। তথ্যমতে, লীনা বা অন্যান্যদের কারাগারে প্রবেশের সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার ছিল এবং তাঁরা রেজিস্টারে কোনও এন্ট্রি না করেই ভেতরে যেতে পারতেন। লীনা নিজেই তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, চন্দ্রশেখরের অন্যান্য মহিলা বন্ধুরাও এই পার্টিতে আসতেন।
আরও পড়ুন-ব্রা না পরে ফটোশ্যুট ! নেটিজেনদের বিদ্রুপের শিকার অভিনেত্রী, দেখুন ভিডিও
জানা গিয়েছে, কারাগারে নির্মিত সুকেশের এই বিলাসবহুল অফিসটি যাতে কোনও রকম বাধাবিঘ্ন ছাড়াই চলতে পারে তার জন্য তিনি জেল কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে এক কোটি টাকা দিতেন।
এর আগে ২০১৭ সালে চন্দ্রশেখরকে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং নির্বাচন কমিশনের ঘুষের মামলায় তিহার জেলে আটক করা হয়। কমিশনের আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার জন্য তিনি AIADMK (Amma) নেতা টিটিভি ধিনাকরণের (TTV Dhinakaran) কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। জানা যায় ওই দলের নির্বাচনী প্রতীক পেতে তিনি ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন। গ্রেফতারের সময় তাঁর কাছ থেকে ১.৩ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।